Advertisement
Advertisement

Breaking News

পবন জল্লাদ

নির্ভয়ার ৪ ধর্ষককে ফাঁসিকাঠে ঝোলানোর জন্য কেন পবন জল্লাদকে বেছে নিয়েছিল তিহার জেল?

শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় ধর্ষকদের ফাঁসির দড়িতে ঝোলান পবন জল্লাদ।

Why Pawan Jallad is first choice for Nirbhaya's convicts
Published by: Sayani Sen
  • Posted:March 20, 2020 7:34 am
  • Updated:March 20, 2020 7:47 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্ভয়ার চার দোষীর ফাঁসি নিয়ে টালবাহানা চলছিল দীর্ঘদিন ধরেই। ফাঁসির দিনক্ষণ বদলেছে তিনবার। তবে বদলায়নি ফাঁসুড়ে। চার ধর্ষককে একসঙ্গে ফাঁসিকাঠে ঝোলানোর জন্য প্রথম থেকেই পবন জল্লাদকে বেছে নিয়েছিল তিহার জেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জেল কর্তৃপক্ষ? 

উত্তরপ্রদেশের মেরঠের বাসিন্দা পবন জল্লাদ। একসময় তাঁর বাবা এবং তার আগে দাদুও ফাঁসুড়ে হিসাবে কাজ করেছেন। মামু সিং জল্লাদ হলেন পবন জল্লাদের দাদু। মামু সিং জল্লাদই রঙ্গা-বিল্লা ও ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকারীদের ফাঁসি দিয়েছিলেন। এই মামু জল্লাদই ব্রিটিশ আমলে ফাঁসি দিয়েছিলেন শহিদ ভগৎ সিংকেও। তাঁরই নাতি পবন জল্লাদ ২০২০ সালের ২০ মার্চ নির্ভয়ার চার দোষীকে একইসঙ্গে ফাঁসি দিলেন। জানা গিয়েছে, পবনের বাবা ছিলেন অত্যন্ত পেশাদার। বাবার অভ্যাস পেয়েছেন ছেলেও। তিনিও যথেষ্ট পেশাদার। গুরুত্বপূর্ণ এই মামলার ক্ষেত্রে তাই পবন জল্লাদের পরিবর্তে কাউকেই ভাবতে পারেনি তিহার জেল। পারিবারিক দিক থেকে এক্কেবারে সাদামাটা পবন জল্লাদের জীবন। পবনের আট ছেলেমেয়ে। তার মধ্যে পাঁচটি মেয়ে ও তিনটি ছেলে। চার মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে আগেই। টাকার অভাবে তাঁর আরেক মেয়ের বিয়ে আটকে রয়েছে। চারজনকে ফাঁসি দিয়ে মাথাপিছু ২০ হাজার টাকা করে মোট ৮০ হাজার টাকা উপার্জন করেন পবন। তিনি ওই টাকা দিয়েই মেয়ের বিয়ে দেওয়ার কথা ভাবনাচিন্তা করেছেন। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘নির্ভয়া জিন্দাবাদ’, দেশের মেয়ে সুবিচার পাওয়ায় তিহার জেলের বাইরে উচ্ছ্বসিত জনতা]

শুক্রবার ফাঁসি হওয়ার কথা থাকলেও মঙ্গলবারই তিহার জেলে পৌঁছে যান পবন জল্লাদ। তারপরই শুরু করেন ফাঁসির প্রস্তুতি। প্রথমে দড়ি এবং ফাঁস পরীক্ষা করা হয়। তারপর দোষীদের ওজন অনুযায়ী বালির বস্তা ঝুলিয়ে পরীক্ষা করা হয়। রাত দেড়টা নাগাদ ডামিদের দিয়ে ফাঁসির মহড়া আয়োজন করা হয়। নানা টালবাহানার পর শুক্রবার ভোরে স্নান করানো হয় চার দোষীকে। প্রার্থনা গৃহে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের। তারপরই ছ’জন নিরাপত্তারক্ষী ফাঁসি কাঠের কাছে নিয়ে আসে চার দোষীকে। অবশেষে একইসঙ্গে চারজনকে ফাঁসির দড়িতে ঝোলান পবন জল্লাদ। এই প্রথমবার কোনও জল্লাদ একসঙ্গে চার দোষীকে ফাঁসির দড়িতে ঝোলান। ফাঁসির সময় পবন জল্লাদ ছাড়াও ওই ঘরে উপস্থিত ছিলেন তিহার জেলের সুপার, অতিরিক্ত জেলসুপার, জেলাশাসক এবং চিকিৎসক। প্রায় আধঘণ্টা ধরে ফাঁসিকাঠে ঝুলিয়ে রাখা হয় নির্ভয়ার দোষীদের। চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করার পর দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চারজনের দেহ। ময়নাতদন্তের পরই দেহ তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement