সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu & Kashmir) বার বার রক্তাক্ত হয়েছে জঙ্গি হামলায়। এর মধ্যে ডোডা ও কাঠুয়ায় শহিদ হয়েছেন ১০ জওয়ান। আর এই জোড়া হামলারই দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের ছায়াসঙ্গী কাশ্মীর টাইগার্স। কেবল দায় স্বীকার করাই নয়, আগামিদিনে আরও হামলার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ সূত্র দাবি করছে, এসবই জইশের ছক। বিশেষ উদ্দেশ্যেই এই ধরনের ছায়াগোষ্ঠীগুলিকে ব্যবহার করে তারা।
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে কী ধরনের ছক? নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ অফিসার এবিষয়ে বলতে গিয়েছে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানাচ্ছেন, ”এই প্রথম জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো এইসব ছায়াসঙ্গীর নাম ব্যবহার করল তা নয়। আগেও এই সব ছক কষেছে ওরা। যেমন রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট, কাশ্মীর ফ্রন্ট ফাইটার্স ও পিপলস অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট। কিন্তু যত নাম বদলাক, সেনা এই সব গেমপ্ল্যান সম্পর্কে ওয়াকিবহাল।” তিনি বলছেন, এসবই সেনাকে বিভ্রান্ত করার জন্য। তদন্তকে ঘেঁটে দেওয়াই উদ্দেশ্য। পাশাপাশি আরও একটি উদ্দেশ্যও রয়েছে। গোষ্ঠীগুলির নামের মধ্যে একটা ভারতীয়ত্বের স্পর্শ রেখে এমন একটা ধারণা তৈরি করা যেন স্থানীয় কাশ্মীরিরাই স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এই গোষ্ঠী তৈরি করেছে। জইশ ও লস্করের মতো পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠীরা এটাই সকলকে বোঝাতে চায়। আর যেহেতু নভেম্বরের পর তুষারাবৃত হয়ে পড়ায় উপত্যকায় জঙ্গি অনুপ্রবেশ কমে যায়, তাই প্রতি বছরের মতো এবছরও এই সময়ে জঙ্গি হামলার সংখ্যা বাড়াতে চাইছে আইএসআই, এমনটাই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠতে থাকা নানা ছায়াগোষ্ঠীগুলির মতো একই ‘স্পর্শ’ রয়েছে ‘কাশ্মীর টাইগার্স’ (Kashmir Tigers) নামটিতেও। ২০১৯ সালে প্রথম বার এদের নাম শোনা যায়। যে সময় জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অবলুপ্ত হয়। ২০২১ সালে শ্রীনগরে পুলিশের উপরে হামলা করে তারা। মারা যান তিন অফিসার। তার পর থেকে মাঝে মাঝেই আলোচনায় উঠে এসেছে জইশের এই ছায়াসঙ্গীর নাম। যে নামের পিছনে জইশই তাদের নাশকতামূলক কার্যকলাপ চালাচ্ছে বলে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.