সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগ এনেছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে (Nishikant Dubey)। এই ঘটনায় রাজনৈতিক তর্জা চলছে। যদিও আপাতত মুখে কুলুপ দলের। এই বিষয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ মন্তব্য করেছেন, “এই নিয়ে তৃণমূলের কোনও বক্তব্য নেই। দল কোনও প্রতিক্রিয়া দেবে না।” এই বিষয়ে পালটা কটাক্ষ করল গেরুয়া শিবির। তাদের দাবি, তৃণমূলের নীরাবতার অর্থ সাংসদের বিরুদ্ধে ওঠা গুরুতর অভিযোগ মেনে নিচ্ছে তারা অথবা কিছু একটা লোকানোর চেষ্টা চলছে।
বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের অভিযোগ ছিল, টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন তুলে মহুয়া স্বাধিকার ভঙ্গ করেছেন। এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রও করেছেন। বিজেপি সাংসদকে নাকি ওই সব অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ দিয়েছেন আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদরি। শনিবার তদন্তের দাবি জানিয়ে মহুয়ার বিরুদ্ধে লোকপালকে চিঠি দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ। ওই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, সংসদে প্রশ্ন করার জন্য ২ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। কবে এবং কোথায় অর্থ বিনিময় হয়েছে তাও জানেন বলে দাবি করেছেন নিশিকান্ত। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মহুয়া। পালটা মানহানির মামলা করেছেন তিনি। তবে এই বিষয়ে ধীরে চলো নীতি নিয়েছে দল।
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, “এই নিয়ে তৃণমূলের কোনও বক্তব্য নেই। দল কোনও প্রতিক্রিয়া দেবে না। যাঁকে (মহুয়া মৈত্র) নিয়ে ঘটনা তিনি ব্যাখ্যা বা জবাব দিতে পারেন। আমরা বিষয়টির উপর নজর রাখছি। কিন্তু এখনই কিছু বলতে চাই না।” কুণালের এমন মন্তব্যের পরেই পালটা আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। রবিবার বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুণাওয়ালা এক্স হ্য়ান্ডেলে লেখেন, “মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে তৃণমূলের অবস্থান হল আমরা মন্তব্য করব না, সাংসদই আত্মপক্ষ সমর্থন করবেন। তার মানে কি তৃণমূল মেনে নিচ্ছে মহুয়া মৈত্র টাকার বিনিময়ে প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থার হয়ে প্রশ্ন করেছিলেন?”
পুণাওয়ালা প্রশ্ন তুলেছেন, অভিযোগ যদি সত্যি হয় তবে কেন বরখাস্ত করা হচ্ছে না অভিযুক্তকে। তাহলে কি কিছু লোকানোর চেষ্টা হচ্ছে। তবে কি দলের লোকেরাও এটা জানত। স্পষ্ট করুক তৃণমূল। আগেই এই বিষয়ে বিজেপি নেতা অমিত মালব্য তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন। তাঁর কথায়, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহুয়াকে “পরিত্যাগ” করছেন৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কারও পাশে দাঁড়াবেন না তিনি। যদিও তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ও জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও ব্রায়েন রবিবার বলেছেন, “বিষয়টি সংসদের কমিটি দ্বারা তদন্ত হোক। তার পর দলীয় নেতৃত্ব উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.