সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবারই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর অসুস্থতার খবর শোনার পরই দলমত নির্বিশেষে তীব্র বিরোধীরাও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সুস্থতা কামনা করেছেন। কিন্তু শুধুই কি সুস্থতা কামনা? কংগ্রেসের তরফ থেকে এবার কিঞ্চিৎ কটাক্ষও ধেয়ে এল। কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী থারুর প্রশ্ন তুললেন, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিল্লি এইমসের (AIIMS) মতো বড় সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে না গিয়ে, পাশের রাজ্যের এক বেসরকারি হাসপাতালে কেন ভরতি হলেন?
True. Wonder why our Home Minister, when ill, chose not to go to AIIMS but to a private hospital in a neighbouring state. Public institutions need the patronage of the powerful if they are to inspire public confidence. https://t.co/HxVqdREura
— Shashi Tharoor (@ShashiTharoor) August 3, 2020
উল্লেখ্য, রবিবার করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসকদের পরামর্শে হরিয়ানার গুরুগ্রামের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। টুইটে তিনি জানান, “শরীরে প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দেওয়ায় করোনা পরীক্ষা করিয়েছিলাম। রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এখন সুস্থই আছি। চিকিৎসকদের পরামর্শে হাসপাতালে ভরতি হতে হচ্ছে।” কিন্তু দিল্লির প্রথম সারির রাজনীতিকরা সচরাচর অসুস্থ হলে যে সরকারি হাসপাতালগুলিতে যান, সেখানে ভরতি না হয়ে কেন অমিত শাহ (Amit Shah) সোজা পাশের রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালে কেন চলে গেলেন? সেটা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় রবিবার সন্ধে থেকেই এটা নিয়ে অস্ফুটে গুঞ্জন চলছিল। সোমবার এই গুঞ্জন নিয়ে মন্তব্য করে খানিকটা বিতর্ক সৃষ্টি করে ফেললেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর(Shashi Tharoor)।
এক টুইটে থারুর অমিতের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়লেন,”আমি ঠিক বুঝতে পারছি না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এইমসে কেন ভরতি হলেন না?” কংগ্রেস (Congress) সাংসদের মত, প্রথম সারির জনপ্রতিনিধিদের অসুস্থ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হওয়া উচিত নয়। কারণ, সরকারি সংস্থাগুলির উপর যদি সাধারণ মানুষের ভরসা বাড়াতে হয়, তাহলে নেতামন্ত্রীদেরই সেগুলিকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরতে হবে। উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত যা খবর হরিয়ানার ওই হাসপাতালে অমিত শাহ পুরোপুরি সুস্থ আছেন। তবে গত বুধবার তিনি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকে বহু মন্ত্রী ছিলেন তাঁর সঙ্গে। তাঁদের সবাইকে নিয়েই বাড়ছে উদ্বেগ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.