সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মসুলে বেঘোরে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৯ জন ভারতীয়। প্রিয়জনরা কেমন আছেন জানতে সরকারের দোরে দোরে ঘুরেছেন আত্মীয়রা। সদুত্তর মেলেনি। চার বছর পর আচমকা সংসদে বিদেশমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই মৃত। তাহলে গত কয়েক বছর ধরে কেন স্তোকবাক্য শোনানো হল? কেন দেওয়া হল মিথ্যে সান্ত্বনা? সব অভিযোগের জবাব দিলেন সুষমা স্বরাজ।
[ ৪ বছর ধরে কেন মিথ্যাচার সরকারের? ক্ষোভে ফুঁসছে মসুলে নিহত ভারতীয়দের পরিবার ]
মসুল থেকে ফিরেই এক ব্যক্তি ঘোষণা করেছিলেন যে, বাকিরা সকলেই আইএসের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন। ঘটনাচক্রে তাই-ই সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। প্রশ্ন, উঠছে, তাহলে সরকারের কেন এই সহজ সত্যিটা বুঝতে এত সময় লেগে গেল? উত্তর দিয়ে সুষমা জানিয়েছেন, কোনও একজন ব্যক্তি দাবি তুলতেই পারেন। কিন্তু সরকার এরকম কোনও মন্তব্য করতে পারে না। সরকারকে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। স্পষ্ট করে সুষমা জানান, কেউ হারিয়ে গিয়েছেন মানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করতে হবে, এই সরকার সে নীতিতে বিশ্বাস করে না। তাই যথোপযুক্ত প্রমাণ পাওয়ার আগে কোনও ঘোষণা করা হয়নি। সুষমা জানান, তিনি নিজে সংশ্লিষ্ট বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। শুধু ফাইল বন্ধ করার জন্য যদি কারও মৃতদেহ ভারতীয়র বলে চালিয়ে দেওয়া হত, তবে পাপ করা হত। বদলে অন্য দেশের মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়েছে। অর্থাৎ দেশের পরিজনদের ডিএনএ নুমনা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। সেই নমুনার সঙ্গে দেহাবশেষের ডিএনএ নমুনার মিল পাওয়া গেলে, তবেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়াই বেশ জটিল ও সময়সাপেক্ষ। সুতরাং হুট করে মৃত ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি। সুষমা জানান, এখনও একজনের মৃত্যু নিয়ে ধন্ধ আছে। কেননা মিলছে না ডিএনএ নমুনা।
It would have been a sin had we handed over anybody’s body claiming it to be those of our people, just for the sake of closing files: EAM Sushma Swaraj pic.twitter.com/bJ9wUtfPqm
— ANI (@ANI) March 20, 2018
কেন পরিবারের সদস্যদের বলা হয়েছিল, পরিজনরা বেঁচে আছেন? সুষমা জানান, যতক্ষণ না মৃত্যু নিশ্চিত হচ্ছে, ততক্ষণ নির্দিষ্ট করে কিছু বলা সম্ভব ছিল না। সংসদে কেন তিনি আগে জানালেন, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। বলেন, নিয়ম মেনে তাঁকে এ খবর আগে সংসদেই পেশ করতে হত। যেহেতু এটা সংসদীয় প্রক্রিয়া তাই নিয়মের বাইরে যাওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না।
Some kin of the victims have questioned as to why they were not told about the deaths before the parliament. It is parliamentary procedure to first inform the house, so it was my duty: EAM Sushma Swaraj pic.twitter.com/IC9ZMBUaO9
— ANI (@ANI) March 20, 2018
DNA samples of 38 people have been matched, verification of 1 victim is under process: EAM Sushma Swaraj pic.twitter.com/1b4U90Qghg
— ANI (@ANI) March 20, 2018
I personally talked to the foreign ministers of the respective countries, I went to them & asked them if they have any evidence they provide us the same. ‘Khoye huye ho to maare huye samjhe jaaoge’ ye sarkar aisi nahi hai: EAM Sushma Swaraj pic.twitter.com/JDpK6vgxIP
— ANI (@ANI) March 20, 2018
পাশাপাশি বিরোধী কংগ্রেসকেও একহাত নিয়েছেন সুষমা। তাঁর অভিযোগ, আজ মৃত্যু নিয়েও রাজনীতি করেছে কংগ্রেস। কটাক্ষ ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, রাহুল গান্ধী বোধহয় ভেবেছেন তেমন হইচই হচ্ছে না। তাই সিন্ধিয়াকে হট্টগোল করতে বলেছেন। কিন্তু মৃত্যু নিয়ে এরকম রাজনৈতিক বিরোধিতা কোনওভাবেই কাম্য নয় বলে জানান বিদেশমন্ত্রী।
Today Congress indulged in very low level of politics, probably Congress president thought how did no uproar happened in Rajya Sabha and decided to ask Scindia ji to lead protests in Lok Sabha. Playing politics on deaths: EAM Sushma Swaraj pic.twitter.com/neKaEy0y1F
— ANI (@ANI) March 20, 2018
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.