Advertisement
Advertisement

Breaking News

Sanjiv Khanna

পদের বিড়ম্বনা! প্রধান বিচারপতি মনোনীত হতেই সাধের প্রাতঃভ্রমণ ছাড়তে হল সঞ্জীব খান্নাকে

রোজ সকালে দিল্লির লোধী গার্ডেন এলাকার কয়েক কিলোমিটার হাঁটতেন হবু প্রধান বিচারপতি।

Why Chief Justice-Designate Sanjiv Khanna had to give up morning walks

বিচারপতি সঞ্জীব খান্না।

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:November 9, 2024 10:17 am
  • Updated:November 9, 2024 10:17 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সব ঠিক থাকলে রবিবারই দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নিতে চলেছেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। দেশের বিচারবিভাগের নিরিখে সর্বোচ্চ পদ। এতদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে তাঁর যা দায়িত্ব ছিল, সেটা এবার অনেকটা বাড়তে চলেছে। বাড়তে চলেছে খ্যাতি, সুযোগসুবিধাও। কিন্তু সমস্যা হল, যশ বা খ্যাতি যা-ই বাড়ুক না কেন, সঙ্গে খানিক বিড়ম্বনাও বাড়ে। যেমনটা হয়েছে দেশের হবু প্রধান বিচারপতির সঙ্গে। প্রধান বিচারপতি পদে মনোনীত হওয়ার পরই নাকি নিজের সাধের মর্নিংওয়াক ছাড়তে হয়েছে তাঁকে।

আসলে প্রতিদিন সকালে উঠে কয়েক কিলোমিটার হাঁটা বিচারপতি খান্নার দীর্ঘদিনের অভ্যেস। রোজ সকালে দিল্লির লোধী গার্ডেন এলাকার মুক্ত বাতায়নে কয়েক কিলোমিটার হাঁটতেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হলেও সেভাবে সংবাদমাধ্যমের ফ্ল্যাশলাইটে কোনওদিন থাকেননি তিনি। ফলে সাধারণ নাগরিকরা সেভাবে চিনতেন না তাঁকে। নিশ্চিন্তে নিজের মতো প্রাতঃভ্রমণ সারতেন তিনি।

Advertisement

গোল বাঁধল বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় প্রধান বিচারপতি পদে তাঁর নাম সুপারিশ করার পরই। সমস্ত সংবাদমাধ্যমে তাঁর ছবি প্রকাশিত হয়েছে। তাছাড়া বড় পদপ্রাপ্তির পর তাঁর নিরাপত্তা নিয়েও বাড়তি সতর্ক প্রশাসন। দেশের হবু প্রধান বিচারপতি যাতে নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া বাইরে না বেরোন, প্রশাসনের তরফে অনুরোধ করা হয়। এমনকী মর্নিং ওয়াকেও তাঁকে অন্তত একজন নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। তাতে নিজেই অস্বস্তিতে পড়ে যান বিচারপতি খান্না। এভাবে নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে মর্নিং ওয়াকে রাজি ছিলেন না তিনি। শেষমেশ প্রাতঃভ্রমণ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয় তাঁকে।

উল্লেখ্য, চার দশকেরও বেশি সময় আইনি পেশার সঙ্গে যুক্ত বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। ১৯৮৩ সালে দিল্লির তিস হাজারি কোর্টে আইনজীবী হিসাবে প্র্যাকটিস শুরু করেন তিনি। ২০০৫ সালে তিনি দিল্লি হাই কোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন। এক বছর পরেই দিল্লি হাই কোর্টের স্থায়ী বিচারপতি পদে উন্নীত হন তিনি। ২০১৯ সালের ১৮ জানুয়ারি বিচারপতি খান্নাকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। ঘটনাচক্রে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হওয়ার আগে কোনও হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে কাজের অভিজ্ঞতা তাঁর ছিল না। ফলে এই প্রথম প্রধান বিচারপতি হিসাবে কাজ করবেন তিনি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement