সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে ধীরে ধীরে কমছে করোনার প্রকোপ। কয়েকটি মেট্রো সিটি বাদ দিলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া দৈনিক করোনা গ্রাফ কিন্তু সে কথাই বলছে। আগের তুলনায় অনেকটাই নিম্নমুখী সংক্রমণ। বেশিরভাগ মানুষই মারণ ভাইরাসকে জয় করে এখন সুস্থ। কিন্তু হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) একটি গ্রামের কথা শুনলে চমকে উঠবেন। গোটা গ্রাম ভরে গিয়েছে কোভিডে। একজন বাদ দিয়ে প্রতিটি গ্রামবাসী করোনা পজিটিভ।
শুনতে অবাক লাগলেও থোরাং গ্রামকে সত্যিই গ্রাস করেছে কোভিড-১৯ (COVID-19)। জনঘনত্বের নিরিখে বিচার করলে হিমাচলের লাহল জেলা করোনায় ভীষণভাবে বিপর্যস্ত। আর সেই জেলারই গ্রাম হল থোরাং। যেখানে ৫২ বছরের ভূষণ ঠাকুর ছাড়া প্রত্যেকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই এমন খবরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে আশপাশের এলাকায়।
গত ৩০ জুন প্রথমবার এই জেলায় থাবা বসায় করোনা ভাইরাস (Corona Virus)। ধীরে ধীরে অনেকেই সংক্রমিত হন। কিন্তু গোটা থোরাং গ্রামকে কীভাবে গ্রাস করল করোনা? জানা গিয়েছে, সম্প্রতি একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল। আর সেখানেই একত্রিত হয়েছিলেন গোটা গ্রামের মানুষ। স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, গোষ্ঠী সংক্রমণের কারণেই গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামের মোট ৪২ জনের মধ্যে ৪১ জনই সংক্রমিত।
তাহলে কীভাবে রক্ষা পেলেন ভূষণ? প্রৌঢ় জানান, “ভাগ্যক্রমেই রক্ষা পেয়েছি। বাড়ির বাকি পাঁচজনই করোনায় আক্রান্ত। ওদের রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর থেকেই আলাদা ঘরে থাকছি। গত চারদিন ধরে নিজেই রান্না করে খাচ্ছি। সেই সঙ্গে স্যানিটাইজ করা, মাস্ক পরার মতো সমস্ত কোভিড বিধি মেনেই দিন কাটছে।”
এদিকে ইতিমধ্যেই ওই জেলায় পর্যটকদের পথ ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার থেকে থোরাং গ্রামে পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে প্রশাসন। রোটাং টানেলের পর থেকে পুরো এলাকাটিই কনটেনমেন্ট জোনে পরিণত হয়েছে। বেশিরভাগ আক্রান্তকেই হোম আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.