সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লিজুড়ে অব্যাহত হিংসা। এর মধ্যেই ফের বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন বিজেপির আরেক নেতা। গেরুয়া শিবিরের আরেক নেতা তথা হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর বলেন, “যারা ভারত মাতার জয় বলবেন, তাঁরাই ভারতে থাকবেন।” আর যারা (ভারত মাতার জয়) বলবেন না, তাঁদের নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করার প্রয়োজন আছে বলেও মন্তব্য করেছেন হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি নেতার এহেন মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন রাজ্যে বিরোধী দলগুলির নেতা-নেত্রীরা।
মঙ্গলবার থেকে হিমাচলে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। সেই অধিবেশনের শুরুতেই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন জয় রাম ঠাকুর। তাঁর কথায়, ” যাঁরা ভারত মাতার জয় বলবেন, তাঁরাই ভারতে থাকবেন। যারা (ভারত মাতার জয়) বলবেন না, সংবিধানের সম্মান করবেন না, ভারতের বিরোধিতা করবেন, তাঁদের নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করার সময় এসেছে।” এখানেই শেষ নয়, ওই বিজেপি নেতা আরও বলেন, “রাজনৈতিক স্বার্থে যারা ক্রমাগত বলে চলেছেন, ভারতে কিছুই ঠিক হচ্ছে না-সবকিছু খারাপ হচ্ছে, তাদের সঙ্গে এবার দৃঢ় আচরণ প্রয়োজন রয়েছে।”
এদিকে রাজধানীতে ক্রমাগত উসকানিমূলক মন্তব্যের জেরে ক্রমাগত অশান্তি ছড়াচ্ছে। অশান্তির জেরে ইতিমধ্যে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম ১৫০ জনেরও বেশি। তাঁদের মধ্যে যেমন রয়েছে আম জনতা, তেমনই রয়েছে পুলিশ-সাংবাদিকরাও। ঘর হারিয়েছেন বহু মানুষ। কার্যত আগুন জ্বলছে দিল্লিতে। এমন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে হমাচলের মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী নেতৃত্ব।
জয় রাম ঠাকুরের মন্তব্যের সমালোচনা করে সিপিআইএমের বিধায়ক রাকেশ সিংহ বলেন, “দেশের সংবিধানের চেয়ে বড় কিছু হয় না। ভারতের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে কারোর কারোর কাছে ভারত মাতার জয় বলা জরুরী। সেটা ব্যক্তিগত বিষয়। এঁরা নিজেদের দেশপ্রেমী প্রমাণ করতে চেষ্টা করছে। কিন্তু আদপে তাঁরা দেশের বৈচিত্র্য নষ্ট করার চেষ্টা করছে। দেশজুড়ে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে।” একই সুর হিমাচলের আরেক বিধায়ক কুলদীপ রাঠোরের গলাতেও। কংগ্রেসের এই বিধায়কের অভিযোগ, দেশের ধুঁকতে থাকা অর্থনৈতিক পরিস্থিতি থেকে নজর ঘোরাতেই বিজেপি সরকার CAA এনেছে। এই আইন দেশের মানুষকে ভাগ করেছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করেছে।” একইসঙ্গে দেশের এই পরিস্থিতির জন্য বিজেপিকে দায়ী করে কড়া ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.