ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির কুর্সির লড়াইয়ে একদিকে তো নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু অন্যদিকে কে? জাতীয় রাজনীতির মহাযুদ্ধে এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। শুক্রবার কংগ্রেসের ইস্তেহারে প্রকাশের মাঝে সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রশ্নই উড়ে এল রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) উদ্দেশে। যদিও ফ্রন্টফুটেই প্রশ্নের জবাব দিলেন কংগ্রেসের (Congress) বিদায়ী সাংসদ। বললেন, দেশ, গণতন্ত্র এবং সংবিধান রক্ষার্থে এই নির্বাচন। ইন্ডিয়া জোটে প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) কে হবেন তা ফলপ্রকাশের পর ঠিক করা হবে।
ইস্তেহার প্রকাশের মঞ্চে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, “ইন্ডিয়া জোট আসলে সমমনস্ক দলগুলির এক ছাতার তলায় আসা। গণতন্ত্র রক্ষার মানসিকতা নিয়েই এই লড়াইয়ে নেমেছি আমরা। নির্বাচন শেষ হওয়ার পর সকলে মিলেই সিদ্ধান্ত নেব প্রধানমন্ত্রী কে হবেন।” পাশাপাশি রাহুল বলেন, “এই নির্বাচন আসলে বিচারধারার লড়াই। দেশের সংবিধান, গণতন্ত্রের জন্য এতটা খারাপ পরিস্থিতি আগে কখনও তৈরি হয়েছে বলে আমার মনে হয় না।”
রাহুলের দাবি, “একদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের সংবিধান ও গণতন্ত্রের উপর লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশের স্বশাসিত সংস্থাগুলিকে কুক্ষিগত করে পরিচালনা করছেন। অন্যদিকে, ইন্ডিয়া জোট দেশের গণতন্ত্র ও সংবিধানকে রক্ষা করতে এগিয়ে এসেছে। এই লড়াই আসলে আমাদের দেশ সংবিধান ও গণতন্ত্রকে রক্ষার লড়াই।”
রাহুল গান্ধীর মতে, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে মোদি সরকারের কারচুপি প্রকাশ্যে চলে এসেছে। তিনি দাবি করেন, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে যে দেশজুড়ে তোলাবাজি হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন। ধরা পড়ে যাওয়ার পর এখন নরেন্দ্র মোদি একটু ভয়ই পাচ্ছেন। এ অবস্থায় ৪০০ পারের দাবি করে চলেছেন উনি। যদিও মনে মনে তারা বেশ জানেন সংখ্যাটা ১৬০-এ পৌঁছনোর আগেই নৌকাটি ডুবে যাবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.