সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের ‘হীরক রাজা’। দেশ-বিদেশে হীরের সাম্রাজ্য তাঁর। চোখ ধাঁধানো দ্যুতি। আভিজাত্য আর অর্থের বিপুল আয়োজন। কিন্তু সবই যে লুটের টাকায়, তা ধরা পড়েছে সম্প্রতি। সকলের চোখের সামনে দিয়েই প্রায় দিনে ডাকাতি করে ১১,০০০ কোটি টাকা লুটে নিয়ে চম্পট নীরব মোদির। কিন্তু কে এই ব্যক্তি?
[ PNB-তে ১১,৫০০ কোটি টাকার দুর্নীতি, সিবিআইয়ের নজরে ধনকুবের নীরব মোদি ]
দিনকয়েক আগে পর্যন্তও দেশের আম-আদমি তাঁর নাম জানত না। শুধুমাত্র এলিট ক্লাসের মুষ্টিমেয় জনগণের কাছেই তিনি ছিলেন পরিচিত। কিন্তু এখন সকলেই জানেন দেশের বৃহত্তম ব্যাংক কেলেঙ্কারির ‘নাটের গুরু’ এই নীরব মোদিই। এমনকী বাটপারির মাত্রায় যিনি ছাপিয়ে গিয়েছেন বিজয় মালিয়াকেও। তা কে এই ব্যবসায়ী? ২০১৬ সালে প্রখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিন তাঁকে ভারতের ‘হীরক রাজা’ তকমা দিয়েছিল। ঘোষণা করেছিল, তিনিই দেশের কনিষ্ঠতম কোটিপতি।
[ কেন্দ্রকে ছাড়ব না, নীরব ইস্যুতে কেন্দ্রের ‘নীরবতায়’ তোপ মমতার ]
বেলজিয়ামে নীরব মোদির বেড়ে ওঠা। বিশ্বের ‘ডায়মন্ড ক্যাপিটাল’ বা হীরের রাজধানী বলা হয় এই অঞ্চলকে। পারিবারিক সূত্রে এবং স্থান মাহাত্ম্যে হীরকের সঙ্গে সখ্যতা বরাবরের। সেই ব্যবসার হাল ধরতেই স্কুলছুট। ২০১৪ সালে দিল্লিতে প্রথম ফ্ল্যাগশিপ স্টোর চালু করেন। পরে মুম্বইয়ে। বাণিজ্যনগরীকেই তাঁর ব্যবসাপত্তরের মূলকেন্দ্র করে তোলেন। ২০১৬ সালে নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়ারেও তিনি তাঁর স্টোর চালু করেন। হলিউড থেকে বলিউডের বহু তারকা সে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ছিলেন তাঁর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসডর।
[ কেলেঙ্কারি ধরে ফেলে আমরাই গোয়েন্দাদের জানিয়েছি, সাফাই পিএনবি কর্তার ]
খুব বেশিদিন ব্যবসার আঙিনায় নেই মোদি। মোটে বছর আষ্টেক হবে। এর মধ্যেই অভূতপূর্ব উত্থান ও বিস্তার। সারা বিশ্বেই প্রায় ব্যবসা সূত্রে ছেয়ে আছেন। আর সেই সঙ্গে দেশের ভাঁড়ার শূন্যও করেছেন। তবে তা টের পাওয়া গেল সম্প্রতি। যখন তিনি দেশ ছেড়ে পলাতক। গয়না ডিজাইনিংয়ের পাশাপাশি সংস্থার এইচআর পলিসি-সবকিছু নিয়েই মেতে থাকতেন। আর পাশাপাশি প্যাশন ছিল সংগীতে। এমনকী এই গুজরাটির ব্যবসায় আসা নাকি কাকতালীয়। পারিবারিক সূত্র ছিল, কিন্তু তরুণ মোদি চাইতেন মিউজিক কম্পোজার হবেন। কিন্তু ব্যবসাই তাকে হীরের দুনিয়ায় টেনে আনে। এবং শেষমেশ দেশের সবথেকে বড় লুটেরা করে তোলে। এখন তোলপাড় পড়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, মোদিকে কি ফেরানো যাবে? আপাতত এর উত্তর নেই কারও কাছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.