Advertisement
Advertisement
WHO 'Indian Variant

করোনার ‘ভারতীয়’ স্ট্রেনকে ‘বিপজ্জনক’ আখ্যা দেয়নি WHO, বিবৃতি দিয়ে দাবি কেন্দ্রের

ইতিমধ্যেই করোনার B.1.617 স্ট্রেনটি ৪৪টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে, জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

WHO has not associated the term 'Indian Variant' with B.1.617, now classified as Variant of Concern, says Centre | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:May 12, 2021 3:03 pm
  • Updated:May 12, 2021 3:03 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার B.1.617 স্ট্রেন। প্রথম যার সন্ধান মিলেছিল ভারতেই। সেই স্ট্রেনটিকে ইতিমধ্যেই ‘গোটা বিশ্বের জন্য বিপজ্জনক’ হিসেবে দেগে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। WHO’র তরফে ভারতের এই স্ট্রেন অর্থাৎ করোনার B.1.617 স্ট্রেনকে গোটা বিশ্বের জন্য উদ্বেগের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু ভারত সরকার বলছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই রিপোর্টে ‘ভারতীয়’ শব্দটির উল্লেখই নেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রক B.1.617 স্ট্রেনকে ‘ভারতীয় স্ট্রেন’ হিসেবে উল্লেখ করাতে আপত্তি জানিয়েছে।

প্রসঙ্গত সোমবার WHO’র তরফে জানানো হয়েছে, ভারতে B.1.617 স্ট্রেনের হদিশ প্রথম মিলেছিল অক্টোবর মাসে। মারণ ভাইরাসটির এই প্রজাতি অতি সংক্রামক।এক জনের শরীর থেকে অন্য জনের শরীরে দ্রুত ছড়াতে পারে। আগের থেকে সংক্রামক ক্ষমতা বাড়ানোই শুধু নয়, সম্ভবত এর ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) প্রতিরোধ ক্ষমতাও আগের থেকে খানিকটা বেড়েছে। যার অর্থ, ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলেও করোনার প্রথম স্ট্রেনের তুলনায় দ্রুতহারে সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম এই স্ট্রেন। হু’র করোনা বিরোধী বিভাগের প্রধান মারিয়া ভ্যান কেরকভ (Maria Van Kerkove) বলছেন, “প্রমাণ মিলেছে, এই ভাইরাসটি আগের থেকে অনেক বেশি সংক্রামক। এবং এতটাই ভ্যাকসিন প্রতিরোধী যে, এটিকে আমরা গোটা বিশ্বের জন্য উদ্বেগজনক ভাইরাসের তালিকায় রাখছি।” বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে ভারতীয় স্ট্রেনের উল্লেখ না করলেও এটি যে প্রথম ভারতেই পাওয়া গিয়েছিল, তা উল্লেখ করেছিলেন মারিয়া ভ্যান কেরকভ। শুধু তাই নয়, এই B.1.617 স্ট্রেন ইতিমধ্যেই ৪৪টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এবং তা গোটা বিশ্বের করোনা চিত্র বদলে দিতে পারে বলেও দাবি করা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘করোনায় মানসিক চাপ কমাতে ডার্ক চকোলেট খান’, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক]

কিন্তু কেন্দ্রের তরফে এদিন দাবি করা হল, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই রিপোর্টে ভারতীয় শব্দটির উল্লেখই নেই। সংবাদ মাধ্যমে অকারণেই ‘ভারতীয়’ শব্দটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হল, তাহলে কি ভারতে B.1.617 স্ট্রেনটির অস্তিত্ব অস্বীকার করার চেষ্টা করছে কেন্দ্র? নাকি ভারতীয় শব্দটি ব্যবহার না করে ভাবমূর্তি বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে? প্রসঙ্গত, এর আগে WHO করোনার তিনটি প্রজাতিকে ‘গোটা বিশ্বের জন্য বিপজ্জনক’ ভাইরাসের তালিকায় রেখেছিল। সেগুলি হল ব্রিটেন, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া প্রজাতি।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement