Advertisement
Advertisement

Breaking News

জয়ললিতার বিপুল সম্পত্তির মালিকানা এবার কার?

জয়ললিতার রেখে যাওয়া বিপুল সম্পত্তি নিয়ে তামিল রাজনীতিতেও যে গণ্ডগোল বাধতে পারে, এ সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না কেউ কেউ।

 Who gets what of Jayalalithaa's Rs 114 crore worth assests?
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 6, 2016 3:43 pm
  • Updated:December 6, 2016 3:43 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় ১১৩.৭৩ কোটি টাকার মালকিন তিনি। কিন্তু কোনও উত্তরাধিকার নেই। তাহলে জয়ললিতার এই বিপুল সম্পত্তির মালিকানা এখন কার? তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়াণের পর থেকেই মাথাচাড়া দিয়েছে এই প্রশ্ন।

এই সম্পত্তি নিয়ে রাজনৈতিকভাবে একাধিকবার বেকায়দায় পড়েছেন তিনি। প্রতিপক্ষ তাঁকে এ ব্যাপারে রীতিমতো নাজেহাল করে ছেড়েছে। কখনও কয়েক হাজার শাড়ি, কখনও জুতো বা সোনা রাখার অভিযোগ উঠেছে। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতি নেই সম্পত্তির, বিরোধীদের এ দাবিতে বহুবার বিপাকে পড়েছেন। কিন্তু আবার রাজনৈতিক কৌশলে সে সব থেকে বেরিয়েও এসেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, তাঁর রেখে যাওয়া এই বিপুল সম্পত্তি এবার কে পাবেন?

Advertisement

প্রায় ২৪,০০০ স্কোয়ার ফুট জায়গা জুড়ে তৈরি যে বাড়িতে জয়ললিতা থাকতেন সেটিরই মূল্য প্রায় ৪৩.৯৬ কোটি টাকা। ১৯৬৭ সালে জয়ললিতার মা এ বাড়ি কিনেছিলেন মাত্র ১.৩২ লক্ষ টাকায়। অনুমান করা হচ্ছে, জয়ললিতার ছায়াসঙ্গী শশীকলা নটরাজন এ বাড়ি পেতে পারেন উত্তরাধিকারী হিসেবে।

তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বেশ কয়েক একর জমিও কিনে রেখেছিলেন। প্রায় ১৮ একর জমি ও তিনটি কমার্শিয়াল বিল্ডিংও আছে তাঁর সম্পত্তির তালিকায়। তাঁর এই সম্পত্তির বেশ কিছুটা পেতে পারেন তাঁর দত্তক পুত্র ভি এন সুধাকরণ। যিনি আবার শশীকলার ভাইপোও বটে।

বেশ কয়েকটি গাড়ি আছে জয়ললিতার। যার মধ্যে আছে দুটি এসইউভি, একটি টেম্পো ট্রাভেলর, টেম্পো ট্রাক্স, মাহিন্দ্রা জিপ, অ্যাম্বাসাডর, মাহিন্দ্রা বোলেরো-সহ অন্যান্য গাড়িও। যেগুলির মিলিত মূল্য ৪২ লক্ষ টাকারও বেশি। এই গাড়িগুলির মালিকানা কার হবে তা নিশ্চিত নয়।

বিপুল পরিমাণ সোনাও জয়ললিতার ছিল বলে জানা গিয়েছিল। যদিও এ নিয়ে মামলা চলেছিল, সোনার পরিমাণ নানা মতভেদ আছে। তবে সোনা ও রুপো যে তার কাছে যথেষ্ট পরিমাণে ছিল এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

২০১৬ সালে এক নির্বাচনের আগে জানা গিয়েছিল তাঁর অস্থাবর সম্পত্তি প্রায় ৪১.৬৩ কোটি টাকার। স্থাবর সম্পত্তি ৭১.০৯ কোটি টাকার। আর কে নগর নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য যে হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছিল তাতে এই পরিমাণ সম্পত্তিরই উল্লেখ ছিল।

বেশ কিছু ফার্মেও বিনিয়োগ ছিল জয়ললিতার। যার পরিমাণ ২৭-২৮ কোটি টাকার কম নয়।

কিন্তু কে এই সম্পত্তির মালিকানা পাবেন তা নিয়ে জোর ধাঁধা। কেননা সেই অর্থে জয়ললিতার কোনও উত্তরসূরি নেই। কোনও উইল করে গিয়েছেন বলেও জানা যায়নি। ঘনিষ্ঠ সঙ্গী হিসেবে শশীকলা ও দত্তক পুত্র কিছু সম্পত্তি পেতে পারেন। বাকি সম্পত্তি হয়তো কোনও ট্রাস্টে দান করা হতে পারে। ব্যক্তিগত শাড়ি ও জিনিস নিয়ে আম্মার নামে কোনও সংগ্রহশালা তৈরির কথাও বলছেন অনেকে। তবে সবকিছুই এখনও জল্পনার স্তরে। জয়ললিতার রেখে যাওয়া বিপুল সম্পত্তি নিয়ে তামিল রাজনীতিতেও যে গণ্ডগোল বাধতে পারে, এ সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না কেউ কেউ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement