Advertisement
Advertisement
রাহুল গান্ধী

‘কাজ চাইলেই চাঁদ দেখাচ্ছে সরকার’, নাম না করে প্রধানমন্ত্রীকে তোপ রাহুলের

'চাঁদে রকেট পাঠালে মানুষের খাবার জুটবে কি?' প্রশ্ন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির।

When youth ask for jobs, govt tells them to watch Moon: Rahul Gandhi

ফাইল ছবি

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:October 14, 2019 12:57 pm
  • Updated:October 14, 2019 12:57 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি। কংগ্রেস সভাপতির পদ ছেড়ে কার্যত অন্তরালে চলে যাওয়া। দলের অভ‌্যন্তরে নানা ডামাডোলের পর ফের রাজনীতির ময়দানে রাহুল গান্ধী। মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রচারে নেমে ফের কেন্দ্রকে তুলোধোনা করলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। কেন্দ্রের শাসক বিজেপিকে কটাক্ষ করে তাঁর মন্তব‌্য, ‘দেশের যুবকরা কাজ চাইছেন। আর সরকার তাঁদের চাঁদ দেখতে বলছেন।’ কয়েকদিন আগের চন্দ্রযান-২ অভিযান নিয়ে এভাবেই সরকারকে আক্রমণ করেছেন তিনি।

[আরও পড়ুন: গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের জেরে ভেঙে পড়ল বাড়ি, উত্তরপ্রদেশে মৃত কমপক্ষে ১২]

বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দা। তারই প্রভাব পড়েছে ভারতে। এদেশের অর্থনীতির অবস্থা বেহাল। বিভিন্ন সমীক্ষা ও অর্থনীতিবিদদের তথ্যেই তা স্পষ্ট হচ্ছে। দেশের অর্থনীতি বর্তমানে বেশ চাপের মুখে। বৃদ্ধির হার কমছে। মন্দার জেরে একের পর এক শিল্পসংস্থা কর্মী ছাঁটাই করছে। কর্মসংস্থানের হারও বেশ কম। মহারাষ্ট্রে প্রচারে গিয়ে সেই সমস্ত বিষয় নিয়েই সরব হয়েছেন রাহুল গান্ধী। লাটুরে তাঁর জনসভায় বেশ ভালই ভিড় হয়েছিল। রাহুল বলেন, ‘মৌলিক চাহিদা ও সমস‌্যা থেকে দেশের মানুষের নজর ঘোরাতেই চন্দ্রযান অভিযানের মতো বিষয়কে প্রচারে নিয়ে আসা হচ্ছে। দেশের যুব সম্প্রদায় যখন কাজের জন্য আওয়াজ তুলছে, তখন সরকার চাঁদ দেখাচ্ছে। মানুষের নজর ঘোরাতে সংবাদমাধ‌্যমকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এসব করছেন।’

Advertisement

এদিকে রবিবার মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ে প্রচারে গিয়ে ৩৭০ ধারা নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ করেন মোদি। রীতিমতো চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, ক্ষমতা থাকলে ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনার কথা নির্বাচনী ইস্তেহারে উল্লেখ করুক বিরোধীরা। এর পালটা জবাব দিতে গিয়ে ডোকলাম ইস্যু তুলেছেন রাহুল গান্ধী। শুক্র ও শনিবার চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে কোনও কথা ওঠেনি বলেই জানা যায়। কিন্তু, মোদি ২০১৭-র ডোকলাম পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন কি, প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল। ওই বছর ডোকলাম দিয়ে চিনা সেনা ভারতে প্রবেশ করতে উদ্যোগী হয়। তাদের বাধা দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। যা নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। ৭২ দিন ধরে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকার পর দু’পক্ষই রণে ভঙ্গ দিয়েছিল।

[আরও পড়ুন:আজ থেকে সুপ্রিম কোর্টে শুরু অযোধ্যা মামলার চূড়ান্ত শুনানি]

সেই প্রসঙ্গই এদিন টেনে আনেন রাহুল। তাঁর কটাক্ষ, ‘ওটা তো মেক ইন ইন্ডিয়া ছিল না। ওটা ছিল মেক ইন চায়না।’ তাঁর আরও দাবি, দেশের সাধারণ মানুষ নানা সমস‌্যায় জর্জরিত। কিন্তু, সরকার ৩৭০ ধারা এবং
চাঁদের বাইরে সমস্ত বিষয়েই নীরব।’ কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে নীরব থাকার জন্য সংবাদমাধ‌্যমেরও তীব্র সমালোচনা করেন রাহুল। কৃষকদের দুর্দশা ও বেকারত্ব নিয়ে তারা চুপ কেন, সে প্রশ্নও তোলেন। তাঁদের বদলে দেশের ১৫ জন ধনী ব‌্যক্তির সাড়ে পাঁচ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ মকুব করা হয়েছে বলেও রাহুল অভিযোগ করেছেন। তাঁর প্রশ্ন, “নোটবন্দির জেরে কারা লাভবান হয়েছে? নীরব মোদি পালিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘নোটবন্দির ফলে কারও উপকার না হলে আমাকে ফাঁসিতে চড়াবেন।’ আমি বলব কারও কারও তো লাভ হয়েইছে। কিন্তু, তাঁরা কারা? চাঁদে রকেট পাঠালে মহারাষ্ট্রের মানুষের পেটে খাবার জুটবে কি?” নোটবন্দি এবং জিএসটি-র আসল উদ্দেশ‌্য, গরিব মানুষের পকেট থেকে টাকা নিয়ে বড়লোকের ভাঁড়ার ভরতি করা বলেও অভিযোগ তাঁর।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement