Advertisement
Advertisement

Breaking News

কী কী থাকতে পারে মোদি সরকারের শেষ বাজেটে?

জনমোহিনী নাকি হিসেবি? নজর পীযূষ গোয়েলের দিকে।

What to expect from Budget 2019
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:February 1, 2019 9:10 am
  • Updated:February 1, 2019 9:10 am  

নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: আর কিছুক্ষণের মধ্যেই লোকসভায় অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। চলতি বছরেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এবারে শেষ বাজেট। যা অন্তর্বর্তী বাজেট হলেও কেন্দ্র জনমোহিনী হিসেবেই পেশ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। গতবার শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট হলেও তা জনমোহিনী হবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু এবার সামনে ভোট বৈতরণি পার হওয়ার লক্ষ্য। তাই অন্তর্বর্তী বাজেটে নতুন ঘোষণা করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা থাকলেও চলতি প্রকল্পগুলিকে সামনে রেখেই চমক থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি, কৃষক-মধ্যবিত্ত-গ্রামীণ ভারতের জন্য জনমোহিনী হতে পারে বাজেট। বাজেটে বেশ কিছু আকর্ষণীয় ঘোষণার সম্ভাবনা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিকমহলে জল্পনা তুঙ্গে।

[‘বেকারত্বের ফাঁস হওয়া তথ্য চূড়ান্ত নয়, খসড়া মাত্র’, সাফাই নীতি আয়োগের]

দেশের কৃষকদের মন জয় করতে ও কৃষি ক্ষেত্রের সঙ্কট দূর করার জন্য সরকার বেশ কিছু নতুন পদক্ষেপ করতে পারে। কেন্দ্রের তরফে ভরতুকির টাকা এবার থেকে সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে চলে যাবে, এমন ব্যবস্থা বাজেটে ঘোষণা হতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে। চাষের জন্য সেচ ও বিদ্যুতের খরচ হিসেবে এই ভরতুকি দেওয়া হতে পারে। দেশের কৃষকরা যে কেন্দ্রের উপর অসন্তুষ্ট, তা বিভিন্ন ঘটনা থেকেই টের পেয়েছে শাসক শিবির। তাই কৃষকদের জন্য নতুন, বড় ঘোষণা না করে চালু প্রকল্পগুলির উপরেই বাজেটে নজর দেওয়া হতে পারে বলেই জানা গিয়েছে। সরকার কি কৃষি ঋণ মকুবের সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচনী চমক দেবে? বাজেটকে কেন্দ্র করে এমন প্রশ্নও উঠে এসেছে। তবে নীতি আয়োগের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছে, ঋণ মকুব কৃষকদের দুরবস্থা থেকে পাকাপাকিভাবে মুক্ত করতে পারবে না। তা উপেক্ষা করে মোদি সরকার কৃষি ঋণ মকুবের রাস্তায় হাঁটবে না বলেই মনে করছেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা। তার পরিবর্তে কৃষকরা যাতে সহজে ঋণ এবং অন্যান্য সুবিধা পান, সেদিকে নজর দেওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল।

Advertisement

মধ্যবিত্তের নজর রয়েছে আয়করের দিকে। সচরাচর অন্তর্বর্তী বাজেটে আয়কর ছাড়ের ঘোষণা করা হয় না। তবে মধ্যবিত্তের মন জয় করতে সরকার আয়করে ছাড় দেওয়ার রাস্তা খুঁজছে বলেও জল্পনা তুঙ্গে। সেক্ষেত্রে গোয়েল আয়করের কাঠামোর ক্ষেত্রে পরিবর্তন করতে পারেন অথবা স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের ঊর্ধ্বসীমা চল্লিশ হাজার থেকে বাড়ানো হতে পারে বলে সম্ভাবনা রয়েছে। আবার স্বাস্থ্যবিমা করানোর ক্ষেত্রে ছাড়ের কথাও ঘোষণা হতে পারে। গত বছর মোদি সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেটে আয়কর ক্ষেত্রে বড়সড় ছাড়ের আশা করেছিলেন সকলেই। কিন্তু সেরকম কিছুই হয়নি। এবারেও তাই সব জল্পনায় জল পড়বে কিনা সেই প্রশ্নও রয়েছে বিশেষজ্ঞমহলের একাংশের মনে।

[ফাঁস SBI-এর কয়েক লক্ষ গ্রাহকের অ্যাকাউন্টের তথ্য! প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট]

কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে চলা সামাজিক প্রকল্পগুলিতে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়তে চলেছে। নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের পাশাপাশি আর বেশ কিছু মন্ত্রকের বরাদ্দের পরিমাণ কুড়ি শতাংশ ও কিছু কিছু ক্ষেত্রে তার বেশি হতে চলেছে বলেই সূত্রের খবর। বৃহস্পতিবার সংসদের অধিবেশনের প্রথম দিনে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণে যেভাবে মোদি সরকারের সামাজিক প্রকল্পগুলির জয়গান করা হয়েছে, তাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি নিশ্চিত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প বাজেটে গুরুত্ব পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই প্রকল্পকে সরকার পক্ষ তথা বিজেপি যে লোকসভা নির্বাচনে ভোট প্রচারের হাতিয়ার করবে, তা অনেকদিন আগে থেকেই ঠিক হয়ে গিয়েছে। দেশের বিভিন্ন মনীষীদের জন্ম বা মৃতু্যবার্ষিকী পালনের জন্যও বড়সড় বরাদ্দ করার রাস্তায় হাঁটতে পারে মোদি সরকার। সেনাবাহিনীর বরাদ্দ বৃদ্ধি করে সেনাকর্মীদের সুবিধা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। মোদি সরকারকে বিরোধীরা সবচেয়ে বেশি আক্রমণ করেছেন দেশের বেকার সমস্যা নিয়ে। বাজেটের আগের দিনই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বেকার সমস্যা নিয়ে মোদির দিকেই সরাসরি নিশানা করেছেন। বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতে এবং দেশের ‘মিলেনিয়াম ভোটার’দের মন জয় করতে মোদি সরকার কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ তৈরি নিয়ে কোনও ঘোষণা করে কিনা সেদিকেও নজর রয়েছে সকলের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement