Advertisement
Advertisement
Karnataka Elections

‘আজ কর্ণাটক যা ভাবছে, আগামী দিনে গোটা ভারত ভাববে’, বলছেন অর্থনীতিবিদরা

ধর্ম নয়, অর্থনীতিক সমৃদ্ধিকেই বেছে নিয়েছে কর্ণাটক, ইঙ্গিত অর্থনীতিবিদদের।

What Karnataka thinks today, India thinks tomorrow, Says Kaushik Basu | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:May 13, 2023 2:36 pm
  • Updated:May 13, 2023 3:37 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী দিনে গোটা দেশকে পথ দেখাবে কর্ণাটক। দক্ষিণের রাজ্যটির ভোটের ফলাফল স্পষ্ট হতেই দাবি করলেন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু। অনেকদিন আগেই অবশ্য এই ধরনের ফলাফলের ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন রিজার্ভ ব্যাংকের (Reserve Bank) প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন।

আসলে কর্ণাটক (Karnataka) বরাবরই রাজনীতি সচেতন রাজ্য। আবার একই সঙ্গে দক্ষিণের এই রাজ্যটির একটি বড় অংশে প্রভাব রয়েছে হিন্দুত্ববাদীদের। সম্ভবত সেকাণেই দক্ষিণের এই একমাত্র রাজ্যটিতে চারবার শাসন করার সুযোগ পেয়েছে বিজেপি (BJP)। এবারেও বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে পুরোপুরি হিন্দুত্ব তথা ধর্মীয় বিভাজনকে হাতিয়ার করার চেষ্টা করেছিল গেরুয়া শিবির। ভোটের আগে প্রায় এক বছর ধরে হিজাব, হালালের মতো ইস্যু নিয়ে ব্যস্ত ছিল গেরুয়া শিবির। আবার নির্বাচনী প্রচারের একেবারে শেষমুহূর্তে এসে কংগ্রেসের ইস্তাহারে দেওয়া বজরং দলকে (Bajrang Dal) নিষিদ্ধ করার প্রতিশ্রুতিকে যেভাবে বজরংবলির দিকে ঘোরানোর চেষ্টা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সেটাও পুরোপুরি মেরুকরণ করারই চেষ্টা।

[আরও পড়ুন: ‘বাংলায় সন্ত্রাসের প্রথম ভুক্তভোগী’, দিল্লিতে দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে কড়া আক্রমণ নাড্ডার]

উলটোদিকে কংগ্রেস বিজেপির এই মেরুকরণের ফাঁদে পা না দিয়ে, মূলত রোটি-কাপড়া-মাকানকে ইস্যু করে ভোটে লড়েছে। রাজ্যের অর্থনীতি, বেকার সমস্যা, এবং সর্বোপরি দুর্নীতি। এই ছিল হাত শিবিরের মূল হাতিয়ার। কংগ্রেসের ‘পে-সিএম’ (PayCM) স্লোগান, ‘৪০ শতাংশের সরকার’ স্লোগান, সবটাই ছিল মূলত অর্থনীতিকেন্দ্রিক। এমনকী ভোটের দিনও কংগ্রেস (Congress) নেতাকর্মীরা ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগে গ্যাস সিলিন্ডারের পুজো করার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছেন। অর্থাৎ পুরোপুরি মানুষের অর্থনৈতিক সমস্যাকে হাতিয়ার করে নির্বাচনে গিয়েছে কংগ্রেস।

[আরও পড়ুন: কর্ণাটকে কংগ্রেস এগোতেই ‘অপারেশন লোটাসে’র জুজু! এগিয়ে থাকা প্রার্থীদের সরানো হচ্ছে বেঙ্গালুরু]

কৌশিক বসু (Kaushik Basu), রঘুরাম রাজনদের মতো অর্থনীতিবিদরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন, ধর্মের নামে অশান্তি আসলে দেশের অর্থনীতিকে পিছিয়ে দিচ্ছে। বিজেপির ধর্মীয় বিভাজন নীতির প্রতিবাদে রঘুরাম রাজন ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রাতেও হেঁটেছেন। তখনও বলেছেন, বিভাজন ভুলে অর্থনীতির উন্নতির কথা ভাবা উচিত সরকারের। সেটাই কর্ণাটকের ভোটের ফলাফলে স্পষ্ট। সেরাজ্যের ভোটাররা ধর্ম, ভুলে অর্থনীতির কথা মাথায় রেখে ভোট দিয়েছেন। সম্ভবত সেকারণেই অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু, এই ফলাফলে উচ্ছ্বসিত। তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করছেন, কর্ণাটকের রাজনীতি সচেতন মানুষ আজ যেটা করলেন, সেটা হয়তো ভারতের বাকি অংশ আগামী দিনে বুঝবে।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement