সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে সলমন খানের ক্ষমা চাওয়া উচিত। এমনই দাবি এক বিজেপি নেতার। বাবা সিদ্দিকির খুনের পর নতুন করে শিরোনামে বিষ্ণোই গ্যাং। ওই খুনের দায় স্বীকার করেছে তারা। এই গ্যাংই একাধিকবার সলমনকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। প্রসঙ্গত, কৃষ্ণসার হরিণ হত্যাকাণ্ডে সলমনের নাম জড়ানোর পর থেকেই লরেন্স বিষ্ণোইর নিশানায় সলমন। যদিও গত বছর এক টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই দাবি করেছিলেন, তাঁদের সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত হানার জন্য সলমনের ক্ষমা চাওয়াই উচিত। এবার বিজেপি নেতার আর্জি ঘিরে নতুন করে এই প্রশ্ন উঠছে। ভাইজান কি ক্ষমা চাইবেন? সেটা ভবিষ্যতের গর্ভে জমা থাকলেও আলোচনায় বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের ক্ষমা চাওয়ার কঠোর রীতিও। জানা যাচ্ছে, ষোড়শ শতাব্দীতে বিষ্ণোই পন্থের প্রতিষ্ঠাতা গুরু জম্ভেশ্বর ক্ষমা চাওয়ার ২৯টি নিয়ম জানিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন।
সম্প্রদায়ের বিশ্বাস অনুযায়ী, কেউ যদি কোনও অপরাধ করেন তাহলে তাঁকে অবশ্যই অনুতাপ করতে হবে। তবেই তাঁর পক্ষে প্রায়শ্চিত্ত করা সম্ভব হবে। আর এই ক্ষমা চাইতে গেলে যেতেই হবে রাজস্থানের বিকানেরে মুক্তিধাম মুকামে। এখানেই রয়েছে গুরু জম্ভেশ্বরের সমাধি। বিষ্ণোইদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান এটিই। এখানেই ক্ষমা চান সলমন, উঠছে দাবি।
অল ইন্ডিয়া বিষ্ণোই সমাজের সম্পাদক হনুমানরাম বিষ্ণোই বলছেন, ”সলমন খান প্রকৃতির দুই সুন্দর প্রাণকে ধ্বংস করেছেন। কেউ যখন অপরাধ করে, তার অনুতাপ হওয়া বাঞ্ছনীয়। তবে ক্ষমাপ্রার্থনার সত্যিকারের তাগিদ থাকতে হবে।” কিন্তু সলমন চাইলেই কি ক্ষমা করবেন বিষ্ণোইরা? এই বিষয়ে অবশ্য এখনই নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না হনুমানরাম। তাঁর কথায়, ”উনি ক্ষমা চাইলে তা বিবেচনা করে দেখা হবে। এই বিবেচনার ভার থাকবে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা সম্প্রদায়ের ৭০ লক্ষ সদস্যের উপরে।”
প্রসঙ্গত, বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ হরনাথ সিং যাদবের দাবি, যে কৃষ্ণসার হরিণকে বিষ্ণোই সমাজ দেবতা মনে করে পুজো করে, তার শিকার করেছেন এবং মাংস রান্না করে খেয়েওছেন সলমন। এই দাবি করে তাঁর আর্জি, ‘বিষ্ণোই সমাজের বিশ্বাসকে সম্মান দিয়ে এই বিশাল ভুলের জন্য আপনার ক্ষমা চেয়ে নেওয়া উচিত।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.