Advertisement
Advertisement

Breaking News

স্টাইরিন গ্যাস

হালকা সুগন্ধের আড়ালে ভয়াবহতা, জানুন ভাইজাগ দুর্ঘটনার ভিলেন স্টাইরিন গ্যাসের প্রকৃতি

ভাইজাগের দুর্ঘটনা ফেরাল ভোপাল গ্যাস ট্র্যাজেডি।

What is styrene gas, the vilain of Vizag's accident by gas leak
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:May 7, 2020 6:11 pm
  • Updated:May 7, 2020 6:11 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশাখাপত্তনমের LG কারখানার গ্যাস দুর্ঘটনা ফিরিয়ে আনল ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনার ট্র্যাজেডি। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১১। বিষাক্ত গ্যাস স্টাইরিনের প্রভাবে অসুস্থ হাজার খানেক মানুষ। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, স্টাইরিন গ্যাস এবং ভোপাল দুর্ঘটনার ভিলেন মিথাইল আইসোসায়ানেটের প্রকৃতি পৃথক। যদিও ভয়াবহতায় কারও কোনও কমতি নেই। প্লাস্টিক তৈরির কারখানায় অতি প্রয়োজনীয় স্টাইরিন একটি এলাস্টোমার। হালকা সুগন্ধযুক্ত এই গ্যাস কিন্তু এক নিমেষে কাবু করে ফেলতে পারে অনেককে। ভাইজাগের কারখানাতেও যা ঘটেছে। স্টাইরিনের প্রভাব আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পলিস্টাইরিন যৌগটি সম্পর্কে দু, একটি তথ্য জেনে নেওয়া যাক। এটি এক ধরনের প্লাস্টিক সুগন্ধযুক্ত হাইড্রোকার্বন যা অতিরিক্ত পলিমারাইজেশনের মাধ্যমে পলিস্টাইরিনের উৎপাদনের জন্য মোনোমার (Monomar) হিসাবে কাজ করে। রাসায়নিক গঠন – C8H8. এটি উদ্বায়ী এবং উচ্চ দাহ্যক্ষমতা সম্পন্ন। এর আর্দ্রতা প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। পলিস্টাইরিন ব্যাপকভাবে প্যাকেজিং এবং বিদ্যুৎ প্রতিরোধী উপাদান হিসাবে ব্যবহৃত হয়। ব্যবহার করা হয় রেফ্রিজারেটরের তাপ নিরোধক হিসাবে এবং ঠান্ডা স্টোরেজ রুম এবং বিল্ডিং দেয়ালের মধ্যে।

Advertisement

[আরও পডুন: করোনার মারণাস্ত্র বানাচ্ছে ইজরায়েল, শাপমুক্তির অপেক্ষায় বিশ্ব]

মার্কিন পরিবেশবিজ্ঞানীদের মতে, এই যৌগ মানবদেহের সংস্পর্শে এলে প্রাথমিকভাবে চোখ ও গলায় জ্বালা ধরে। কিছুক্ষণ পর তা খাদ্যনালী, শ্বাসনালীতে ঢুকে শরীরের ব্যাপক ক্ষতি শুরু করে। আরও কী কী প্রভাব ফেলতে পারে স্টাইরিন গ্যাস? স্নায়ুতন্ত্রের উপর মারাত্মক প্রভাব এই বিষাক্ত গ্যাসের। ধীরে ধীরে তা স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করে, এমনকী কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে বিকল পর্যন্ত করে দিতে পারে। বিপদের আশঙ্কা আরও আছে। দুর্বলতা, মাথাযন্ত্রণার পাশাপাশি শ্রবণক্ষমতা কমতে থাকে। আমেরিকার এনভায়রনমেন্ট প্রোটেকশন এজেন্সির মতে, এই গ্যাস কম সময়ের মধ্যেই বড়সড় প্রভাব ফেলে। বেশিক্ষণ এর সংস্পর্শে থাকলে, লিউকিমিয়া বা ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।

[আরও পডুন: ভাইজাগ গ্যাস দুর্ঘটনা: দরজা ভেঙে অচেতন গ্রামবাসীদের উদ্ধার করলেন পুলিশকর্মীরা]

১৯৮৪ সালের ডিসেম্বরে ভোপালের ইউনিয়ন কার্বাইড কারখানায় গ্যাস লিকের দুর্ঘটনা শিল্পের ইতিহাসে অন্যতম ভয়ংকর ঘটনার তালিকায় ঠাঁই করে নিয়েছিল। মারাত্মক বিষাক্ত মিথাইল আইসোসায়ানেটের (Methyl isocyanate) প্রভাবে আজও ভুগতে হয় সেখানকার বাসিন্দাদের। আজও ভোপালের ওই কারখানা সংলগ্ন এলাকায় অপুষ্টি, দৈহিক সমস্যা, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে পৃথিবীর আলো দেখে নবজাতকরা। ভাইজাগের দুর্ঘটনার ভয়াবহতা কি এর চেয়ে কম? এই প্রশ্নের উত্তর দেবে ভাবীকাল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement