সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবগারি দুর্নীতি মামলা। এই মুহূর্তে গোটা দেশে আলোচনায় এই দুর্নীতি। যে মামলায় এর আগে দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার খোদ মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কী এই দুর্নীতি। আসুন জেনেন নেওয়া যাক।
১৭ নভেম্বর ২০২১ সালে দিল্লি প্রশাসন নতুন আবগারি নীতি চালু করে। অভিযোগ ছিল, রাজ্যের কয়েকজন সুরা ব্যবসায়ীদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্যই এই নয়া নীতি। কী ধরনের পরিবর্তন করা হয়েছিল? যেমন লাইসেন্স ফি কমিয়ে দেওয়া। স্কুল, হাসপাতাল চত্বরের কাছাকাছি মদের দোকান খোলার ক্ষেত্রে যা নিয়ম তাকে আরও শিথিল করা। আবার মাঝরাত অর্থাৎ রাত তিনটে পর্যন্ত মদের দোকান খোলা রাখা কিংবা মদের হোম ডেলিভারির অনুমোদনও দেওয়া হয়েছিল নয়া নীতিতে। এর ফলে রাতারাতি আবগারি ক্ষেত্র থেকে রোজগার ২৭ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল সরকারের। যা প্রায় ৮ হাজার ৯০০ কোটি টাকা! সরকারি রিপোর্ট থেকেই এই তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। অভিযোগ, এই টাকা নাকি রাজকোষে ঢোকেনি। পাশাপাশি রাজস্বের ক্ষতি হওয়ায় বঞ্চিত হয় আমজনতা। আরও অভিযোগ, সিসোদিয়ার মতো ক্ষমতাবান রাজনীতিক অর্থের বিনিময়ে এই ধরনের শৈথিল্য এনেছিলেন আবগারি নীতিতে। এবং এরই সঙ্গে ইডির অভিযোগ, এই ষড়যন্ত্রে সামিল ছিলেন কেজরিওয়ালই। সরকার নয়, সুরাপ্রেমীদের স্বার্থ দেখে নীতি প্রণয়ন করা, এটাই আবগারি দুর্নীতির মূল অভিযোগ। এক্ষেত্রে উঠে আসে ‘সাউথ গ্রুপে’র কথাও। বলা হয় দক্ষিণ ভারতীয় কয়েক সুরা ব্যবসায়ীরা এতে লাভবান হয়েছিলেন।
অবশেষে এই মামলাতেই গ্রেপ্তার হলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁকে বাড়ির পিছন দিক দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে বহু আপ সমর্থক জড়ো হয়েছিলেন। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে আম আদমি পার্টি। এখন দেখার, সেখানে আপৎকালীন কোনও শুনানি হয় কিনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.