Advertisement
Advertisement
৩৫এ ধারা

বহু আলোচিত ৩৫এ ধারা কী, বিতর্কই বা কেন? জেনে নিন

নেহরুর পরামর্শে সংবিধানে ৩৫এ ধারাটি  অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

What is Article 35A? Here is all the details you need to know
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:August 5, 2019 2:21 pm
  • Updated:May 20, 2020 9:48 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৬৯ বছর পর সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫এ  ধারা রদ  করল কেন্দ্রের মোদি সরকার। ঐতিহাসিক এই পদক্ষেপে ভূস্বর্গের বিশেষ মর্যাদা আর থাকল না। শুধু তাই নয়, জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য ভেঙে গঠন করা হল দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল।  সোমবার, বিরোধীদের হতবাক করে এই সংক্রান্ত চারটি বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

জম্মু ও কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৫-এ ধারা কী?

Advertisement

১৯৫৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর পরামর্শে  ও রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদের নির্দেশে সংবিধানে ৩৫এ ধারাটি  অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই ধারায় জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দাদের বিশেষ অধিকার দেওয়া হয়েছে।

এই ধারা অনুযায়ী, রাজ্যের ‘স্থায়ী বাসিন্দা’ কারা এবং তাঁদের বিশেষ অধিকার কী হবে, তা স্থির করার ক্ষমতা জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার হাতে তুলে দেওয়া হয়।  কেবল স্থায়ী বাসিন্দারাই ওই রাজ্যে সম্পত্তির মালিকানা, সরকারি চাকরি বা স্থানীয় নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অধিকার পান। রাজ্যের কোনও মহিলা বাসিন্দা রাজ্যের বাইরের কাউকে বিয়ে করলে সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত হন। তাঁর উত্তরাধিকারীদেরও সম্পত্তির উপরে অধিকার থাকে না।

জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৫-এ ধারার গুরুত্ব কোথায়?

১৯২৭ ও ১৯৩২ সালে ‘ব্রিটিশ ইন্ডিয়া’র  করদ রাজ্য (প্রিন্সলি স্টেট) জম্মু ও কাশ্মীরে স্থায়ী বাসিন্দা আইন চালু হয়েছিল। কাশ্মীরের তৎকালীন শাসক মহারাজা হরি সিং ওই আইন চালু করেছিলেন। বলা হয়, পাঞ্জাবিদের ‘অনুপ্রবেশ’ রুখতে কাশ্মীরি পণ্ডিতরাই এই আইন আনার দাবি তুলেছিলেন।  তারপর দেশভাগের সময় খান সেনার আগ্রাসনে জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের অংশ হিসেবে মেনে নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন হরি সিং।

ডোগরা শাসনকালের মেয়াদ শেষে কাশ্মীরের আধিপত্য দখল করেন শেখ আবদুল্লা। ১৯৪৯-এ নেহরুর সঙ্গে আবদুল্লার আলোচনার মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা (সংবিধানের ৩৭০ ধারা) দেওয়া হয়।  ফলে প্রতিরক্ষা, বিদেশ এবং যোগাযোগ – এই তিন ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় আইন প্রযোজ্য ছিল না উপত্যকায়।

২০০২ সালে জম্মু ও কাশ্মীর হাই কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ে বাতিল হয় ৩৫-এ ধারায় মহিলাদের সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করার নিয়ম। ওই ধারা অনুযায়ী, রাজ্যের বাসিন্দা কোনও মহিলা রাজ্যের বাইরের কাউকে বিয়ে করলে সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত হন। তাঁর উত্তরাধিকারীদেরও সম্পত্তির উপরে অধিকার থাকে না। ২০০২ সালে হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, ভিনরাজ্যের কাউকে বিয়ের পরও অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন না কাশ্মীরি মহিলারা। তবে তাঁদের উত্তরাধিকারীদের সম্পত্তির উপর অধিকার থাকবে না। ৩৫-এ ধারার বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন-সহ বেশ কয়েক জন আবেদনকারী। এবার রাজ্যটিই অবলুপ্তির ফলে এই মামলাও যথারীতি ভিত্তিহীন হয়ে গেল৷

[আরও পড়ুন: অঙ্গরাজ্যের মর্যাদা খোয়াচ্ছে ভূস্বর্গ, ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হচ্ছে উপত্যকাকে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement