সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরোধী শিবির তো বটেই এনডিএ-র শরিক দলগুলিও দাবি তুলেছে জনগণনার সঙ্গেই হোক জাতগণনা। এবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তৃতীয় মোদি সরকারের ১০০ দিনে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শাহ জানালেন, ‘দেশে শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে জনগণনা।’ তবে, জাতিগত জনগণনা হবে কি না সে বিষয়ে শাহ এদিন রহস্য জিইয়ে রেখেছেন।
মঙ্গলবার, ন্যাশনাল মিডিয়া সেন্টারে কেন্দ্র সরকারের একশো দিনের কাজের সাফল্যের খতিয়ান পেশ সংক্রান্ত সাংবাদিক বৈঠকে একাধিক ইস্যুতে মুখ খোলেন অমিত শাহ। সেখানেই তিনি বলেন, “চলতি সরকারের আমলেই এক দেশ, এক নির্বাচন বাস্তবায়িত হবে। তার জন্য প্রস্তুতিও চলছে।” পাশাপাশি দেশে খুব শীঘ্রই জনগণনা চালু হবে বলেই এদিন জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে, জাতিগত জনগণনা হবে কি না সে প্রশ্ন উঠতেই অমিত শাহ বলেন, যখন জনগণনার কাজ শুরু হবে তখনই এই বিষয়টি জনসমক্ষে আনা হবে। অর্থাৎ এই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি সরকার।
শরিক নির্ভর তৃতীয় মোদি সরকারের আমলে রাজনৈতিক দিক থেকে জাতগণনার দাবি প্রবল আকার নিয়েছে। লোকসভায় দাঁড়িয়ে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী বার্তা দিয়েছিলেন, ‘মোদিজি যদি আপনি ভেবে থাকেন জাতগণনা বন্ধ করবেন, তাহলে স্বপ্নের মধ্যে রয়েছেন। কোনও শক্তিই এটা বন্ধ করতে পারবে না। দেশের রায় চলে এসেছে ৯০ শতাংশ মানুষ জাতগণনার পক্ষে। আপনি নির্দেশ না দিলে আপনার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী এটা করবেন।’ তবে শুধু বিরোধী দল নয়, এনডিএ শরিক দল এলপিজি প্রধান সাংসদ চিরাগ পাসওয়ান, জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার বার বার জাতগণনার দাবিতে সরব হয়েছেন। এমনকি খোদ আরএসএসও জাতগণনার পক্ষে মত দিয়েছেন। বিহার-সহ দেশের একাধিক রাজ্যও আলাদা আলাদাভাবে জাত গণনার পথে হেঁটেছে।
শুরুতে জাতগণনার প্রসঙ্গে মোদি সরকারের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ‘জাতগণনা দেশে সামাজিক বৈষম্য আরও বাড়িয়ে তুলবে।’ কিন্তু ঘরে বাইরে প্রবল চাপের মুখে পড়ে মোদি সরকার এ বিষয়ে মনোভাব কিছুটা নরম করলেও জাতিগণনার সঙ্গে জাতগণনা হবে কিনা এবিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারেনি। গোটা বিষয়টি এখনও আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.