বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: রাজ্যের পরিষদীয় ব্যবস্থা সংকটের মুখে। সর্বভারতীয় স্পিকার সম্মেলনে রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee)। তাঁর অভিযোগ, স্পিকারকে অন্ধকারে রেখে এমন অনেক কাজ হচ্ছে, যাতে বিধানসভার মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি বিধায়কদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আগে তাঁকে জানাচ্ছে না। এমনকী রাজ্যপালও বিধানসভার কাজে অনধিকার চর্চা করছেন।
বুধবার লোকসভার (Lok Sabha) স্পিকারের নেতৃত্বে দেশের সব স্পিকারদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমায় না জানিয়ে বিধায়কদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলো। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলো লোকসভার কোনও সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে স্পিকারের অনুমতি নিচ্ছে। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ক্ষেত্রে ঠিক উলটোটা ঘটছে। স্পিকারের অনুমতি নেওয়া হচ্ছে না।”
কেন্দ্রীয় এজেন্সির পাশাপাশি বিধায়কদের একাংশ এবং রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, “অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে কেউ কেউ বিধানসভার একাধিক ইস্যুতে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ করছেন। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধানসভার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছেন রাজ্যপাল। বিধানসভাকে (West Bengal Assembly Election) নির্দেশ দিচ্ছেন। যে বিষয়গুলো বিধানসভায় আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে, সেটা না করে বিধায়কদের একাংশ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন। এবং আদালত সেই মামলা গ্রহণও করছে।” স্পিকারের অভিযোগের তির যে বিজেপি বিধায়কদের দিকেই, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বস্তুত, এদিন স্পিকারদের সম্মেলনে মোট ১২ মিনিট বক্তব্য রাখেন বিমানবাবু। তার পুরোটাই মূলত রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির বিরুদ্ধে। আসলে, নারদ মামলায় (Narada Case) বিনা অনুমতিতে রাজ্যের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ার জেরে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির প্রতি রীতিমতো ক্ষুব্ধ স্পিকার। ইতিমধ্যেই ইডি এবং সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকদের তলবও করেছেন তিনি। এবার লোকসভার স্পিকারের কাছেও উগরে দিলেন ক্ষোভ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.