নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: দুর্বল সংগঠন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election)রাজ্যের সব বুথে প্রার্থী খুঁজে পাওয়াই কার্যত অসম্ভব। এমন পরিস্থিতিতে ১২ দফা সংকল্পপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি। ‘স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত’ পঞ্চায়েতের পাশাপাশি দিল্লির কেজরিওয়াল সরকারের অনুকরণে প্রতি পঞ্চায়েতে চিকিৎসাকেন্দ্র গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হবে বলে গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর। যদিও শুক্রবার দিল্লিতে এসে সংকল্পপত্র প্রকাশের কথা স্বীকার করেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
বিধানসভা নির্বাচনে পর্যুদস্ত হওয়ার পর থেকেই রাজ্যে সংগঠনে রক্তক্ষরণ অব্যাহত। দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় নেতারা হাজারবার ছুটে গিয়েও রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে পারেনি। সঠিক চিকিৎসক বা দাওয়াই খুঁজে না পাওয়ায় ক্ষয়িষ্ণু হয়েছে গেরুয়া শিবির। বহু নেতাকর্মী হয় দল ছেড়েছে, নয় বসে গিয়েছে। অনেকে আবার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর একতরফা সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পার্টি অফিসমুখো হন না। বসে যাওয়া ও বিক্ষুব্ধ নেতা কর্মীদের কর্মসূচিতে নিয়ে আসতে ব্যর্থ বর্তমান নেতৃত্ব।
এদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে দামামা বেজে গিয়েছে। রাজ্যের শাসক ও বিরোধী দুই শিবিরই কৌশল ঠিক করতে দফায় দফায় বৈঠক করছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে একাধিক বৈঠক করার পরেও সব বুথে প্রার্থী খুঁজে পাওয়া নিয়ে চিন্তায় বিজেপি। পঞ্চায়েত ভোটে সব বুথ ও আসনে প্রার্থী দিতে গেলে প্রায় এক লক্ষ প্রার্থীর প্রয়োজন হয়। তার উপর থাকে সংরক্ষণের গেড়ো। অর্ধেকের বেশি বুথে প্রার্থী দেওয়া কার্যত অসম্ভব বলে জানিয়েছেন এক রাজ্য নেতা। যদিও তা মানতে নারাজ দলের রাজ্য সভাপতি।
তিনি জানান, শাসকদল ভয় পেয়েছে বলেই এখন থেকে আক্রমণ শুরু করে দিয়েছে। গ্রামে বিপুল পরিমান অস্ত্র মজুদ করা হচ্ছে। পুলিশ সব জেনেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সূত্রের খবর, গ্রামের মানুষকে দলের প্রতি আকৃষ্ট করতে ১২ দফা সংকল্পপত্র তৈরি করা হচ্ছে। গ্রামের গরীব মানুষের কথা মাথায় রেখেই তৈরি হবে এই ইস্তাহার। দলের শীর্ষনেতৃত্ব আলোচনা করেই সংকল্পপত্র তৈরি করবে। সেক্ষেত্রে ইস্তাহারে আরও বেশ কয়েকদফা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতে পারে বলে জানান তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.