বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: ২০২৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই দেশের সমস্ত রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনও করানো হোক। এমনটাই সুপারিশ করেছে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (Ramnath Kovind) নেতৃত্বাধীন এক দেশ, এক নির্বাচন কমিটি। বৃহস্পতিবার আঠারো হাজার পাতার রিপোর্ট রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (Draupadi Murmu) হাতে তুলে দিয়েছেন কোবিন্দ। দেশের ৪৭টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩২টি রাজনৈতিক দল এক দেশ, এক নির্বাচনের পক্ষে মত দিলেও ১৫টি রাজনৈতিক দল বিপক্ষে মত দিয়েছে, সেকথাও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রস্তাবের পক্ষে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি এবং মূলত এনডিএ’র শরিক দলগুলি রয়েছে। কংগ্রেস থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস-সহ সিপিএম, আম আদমি পার্টি (AAP), বহুজন সমাজ পার্টির মতো জাতীয় দলগুলিও এই প্রস্তাবের বিপক্ষে মত দিয়েছে। এক দেশ এক নির্বাচন কার্যকর হওয়ার পর কেন্দ্রে বা কোনও রাজ্যে পাঁচ বছরের আগেই নির্বাচিত সরকার পড়ে গেলে, ত্রিশঙ্কু লোকসভা বা বিধানসভার ক্ষেত্রে বা অনাস্থা প্রস্তাবে সরকার পড়ে গেলে কী হবে, তা নিয়ে একাধিক সুপারিশ করেছে কমিটি।
তাদের মত, ২০২৯ পর্যন্ত সমস্ত রাজ্য বিধানসভার (West Bengal Assembly Elections) মেয়াদ বাড়ানো উচিত। ত্রিশঙ্কু হলে এবং অনাস্থা প্রস্তাবের ক্ষেত্রে, প্রয়োজনে বাকি সময়টুকুর জন্য আলাদাভাবে নির্বাচনের আয়োজন করা যেতে পারে বলে সুপারিশ করা হয়েছে। প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধনেরও সুপারিশ করেছে কমিটি। প্রথম দফায় লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন একযোগে হলে, দ্বিতীয় দফায় ১০০ দিনের মধ্যে স্থানীয় সংস্থার নির্বাচন হতে পারে। একটি একক ভোটার তালিকা এবং ভোটার আইডি কার্ড তৈরি হবে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, যদি সমস্ত পক্ষ আইন কমিশনের প্রস্তাবে সম্মত হয় তবে এটি ২০২৯ সাল থেকে কার্যকর করা হবে।
আগামিদিনে এই প্রস্তাব গৃহীত হলে অনেক রাজ্যে বিধানসভার মেয়াদ কমাতে হবে। আবার অনেক রাজ্যে বিধানসভার মেয়াদ বাড়াতেও হবে। যেমন বাংলার ২০২৬ সালে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে হয় তিন বছরের মাথায় নির্বাচিত সরকারকে ভেঙে দিতে হবে অথবা বর্তমান বিধানসভার মেয়াদ ২০২৯ পর্যন্ত বাড়াতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.