দীপাঞ্জন মণ্ডল, অযোধ্যা: ভারতবর্ষের ইতিহাসে ঐতিহাসিক দিন আজ। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। আজ ভূমি পূজন রাম মন্দিরের (Ram Manidr)। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শিলান্যাস করবেন। তবে করোনা পরিস্থিতিতে উপস্থিত থাকছেন না অনেকেই। কিন্তু রামের টানে অযোধ্যায় এসে পড়েছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। করোনা তাঁদের আটকে রাখতে পারেনি। সুদূর নদীয়া থেকে প্রায় ১,৫০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ভগবান রামের টানেই হাজির হয়েছেন নদিয়ার বিজেপি (BJP) কর্মীরা।
এদের মধ্যে আছেন রাজ্য বিজেপির কর্মকর্তা, বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য বঙ্কিম ঘোষ-সহ আরও অনেকে। তবে খালি হাতে আসেননি তাঁরা। রাম মন্দির নির্মাণের জন্য চূর্ণী ও গঙ্গা নদীর সঙ্গমের জল এবং কৃত্তিবাস ওঝার বাড়ির মাটি সঙ্গে করে এনেছেন। সোমবারই অযোধ্যা পৌঁছে সেই সমস্ত জিনিস তুলে দিয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের হাতে। তাদের মাধ্যমেই সেই সমস্ত জিনিস পৌঁছে যাবে রাম জন্মভূমিস্থলে। কিন্তু ভূমি পূজনে যাওয়ার অনুমতি তাঁরা পাননি। আসলে করোনা পরিস্থিতির কথা ভেবে আমন্ত্রিত ছাড়া কাউকেই মূল অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। মাত্র ১৮৫ জন মন্দিরে ঢোকার অনুমতি পেয়েছেন। বঙ্কিমবাবু ছাড়াও উপস্থিত হয়েছেন রাজ্য কমিটির সম্পাদক মনোজ বিশ্বাস, নদীয়া জেলার সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়।
“ঢোকার অনুমতি আমরা পাইনি। তবে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি যাতে মূল অনুষ্ঠানের জায়গায় গিয়ে এই ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হতে পারি। ভগবান রাম চাইলে অবশ্যই আমরা তা দেখতে পারব,” বলেছেন সব্যসাচীবাবু। বঙ্কিমবাবু বলছিলেন, “আমরা নদিয়া জেলা থেকে অযোধ্যায় এসে পৌঁছেছি দীর্ঘ প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। কৃত্তিবাস ওঝার বাড়ির মাটি এবং চূর্ণী নদী ও গঙ্গার সঙ্গমের জল নিয়ে এসেছি। দীর্ঘ সময়ের পর যে রাম মন্দিরের শিলান্যাস হবে, এই ঐতিহাসির ঘটনার সাক্ষী হতেই আমরা অযোধ্যা এসে পৌঁছেছি। আমাদের নদিয়া জেলার প্রতিনিধি উপস্থিত আছেন অনেকেই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.