সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “দিদি সত্যিটা কখনও চাপা থাকে না।” নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) আহত হওয়া নিয়ে প্রথমবার মুখ খুলেই তাঁকে কটাক্ষের তিরে বিঁধলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। বিজেপি সভাপতির দাবি, ঘটনার পর মমতা যে বয়ান দিয়েছিলেন, এবং হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে তিনি যে বয়ান দিয়েছেন, তার মধ্যে বিস্তর ফারাক আছে।
বুধবার নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী (TMC) হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর সন্ধের দিকে বিরুলিয়ায় মন্দির দর্শনে গিয়ে জখম হন মুখ্যমন্ত্রী। মন্দিরের কাছে ভিড়ের চাপে বাঁ পায়ে ব্যাপক চোট লাগে তাঁর। তীব্র যন্ত্রণায় গাড়িতে কাহিল হয়ে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর তাঁকে তড়িঘড়ি গ্রিন করিডর করে নন্দীগ্রাম থেকে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। বুধবার রাতেই ভরতি করানো হয় এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে। ৯ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসা শুরু করে। দু’দিন পর শুক্রবার হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তৃণমূলের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর উপর পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা হয়েছে। এই দাবিতে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও দায়ের করে এসেছে রাজ্যের শাসক শিবির। পালটা দিয়েছে বিজেপিও। তাঁদের দাবি, তৃণমূল গুজব ছড়িয়ে তাঁদের বদনাম করার চেষ্টা করছে। গোটা ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আনার দাবিতে কমিশনে দরবার করেছে গেরুয়া শিবিরও। কিন্তু এসবের মধ্যেও আশ্চর্যজনকভাবে মমতার আহত হওয়া নিয়ে এতদিন নীরব ছিল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তো বটেই বিজেপি সভাপতি নাড্ডাও এর আগে আঘাত পাওয়া নিয়ে মুখ খোলেননি।
ওই ঘটনা নিয়ে শুক্রবার প্রথমবার মুখ খুলেই মমতাকে কটাক্ষের তিরে বিঁধলেন নাড্ডা। বিজেপি সভাপতি বলছেন,”ওই ঘটনা নিয়ে নির্বাচন কমিশন এখনও কোনও বিবৃতি দেয়নি। কিন্তু মমতার নিজের বয়ানই বদলে গিয়েছে। ঘটনার পরে তিনি একরকম বলছিলেন, আর হাসপাতালে শুয়ে তিনি অন্য কথা বলছেন। আসলে সত্যিটা কখনও চাপা থাকে না। তৃণমূল বাংলায় সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছে। কিন্তু বাংলার মানুষ ভীষণভাবে রাজনীতি সচেতন। তাই তৃণমূল সিমপ্যাথি ভোট পাবে না।” তবে, কটাক্ষ করলেও বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.