সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গো-হত্যা করা যাবে না। আর কেউ এই কাজ করলে তাকে ফাঁসিকাঠে ঝোলানো হবে। এবার প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি দিলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিং। শনিবার জগদলপুরে একথা বললেন তিনি। তাঁর সাফ বক্তব্য, রাজ্যে গো-হত্যা কিছুতেই বরদাস্ত করা হবে না। কেউ এমন কাজ করলে তাকে ফাঁসি দেওয়া হবে। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাটের পর এবার ছত্তিশগড়েও গো-হত্যা নিয়ে আরও কড়া হচ্ছে রাজ্য সরকার।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন রমন সিং। সেখানেই রাজ্য সরকার গো-হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর আইন আনছে কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা প্রশ্ন, ‘রাজ্যে কোথাও কী গো-হত্যা হচ্ছে? শেষ ১৫ বছরে একটি গরুকেও কী মারা হয়েছে?’ এরপরেই সহাস্য উত্তর, ‘যে গরুকে মারবে, তাকে ঝুলিয়ে দেব (জো গাই কো মারেগা, উনকো লাটকা দেঙ্গে)।’ যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি মানতে নারাজ ছত্তিশগড়ে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক শৈলেশ নীতিন ত্রিবেদী। তাঁর অভিযোগ, ছত্তিশগড়ে জায়গায় জায়গায় গো-হত্যা হয়। এমনকী রাজধানীর আশেপাশে বিভিন্ন জায়গাতেও একই ঘটনা ঘটে। শুধু তাই নয়, গবাদি পশুকে হত্যার জন্য পাচারে মদত জোগায় রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপিরই একাংশ। বর্তমানে বিজেপির নীতির সঙ্গে তাল মেলাতেই মুখ্যমন্ত্রী এই কথা বলেছেন বলে দাবি ত্রিবেদীর।
২০০৩ সালের ডিসেম্বরে ক্ষমতায় এসেই গো-হত্যায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিং। ২০০৪ সালে তৈরি গবাদি পশু সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, গবাদি পশু হত্যা বা পাচারে অভিযুক্তকে সাত বছরের জেল এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নিয়ম রয়েছে ছত্তিশগড়ে। তার উপর মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের ঘোষণা আরও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। এদিকে, কয়েকদিন আগেই গুজরাটে গো-হত্যাকারীদের জন্য কড়া আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এবার থেকে নতুন নিয়মে মোদির রাজ্যে গো-হত্যায় দোষী সাব্যস্ত হলে ৭ বছরের বদলে ১৪ বছরের সাজা দেওয়া হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.