সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’। কড়া নিরাপত্তায় দিল্লিতে শুরু বহুচর্চিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। ভারতের নেতৃত্বে হওয়া এই সম্মেলনের থিম ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’। পরম্পরা মেনেই শনিবার বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের স্বাগত জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রেক্ষাপটে ওড়িশার কোনারক সূর্য মন্দিরের রথের চাকার একটি কোলাজ। তার সামনে দাঁড়িয়ে একে একে অতিথিদের স্বাগত জানালেন মোদি।
জি-২০-এর কোলাজে সূর্য মন্দিরের চাকাকেই কেন বেছে নেওয়া হল?
পুরী থেকে ৩৫ আর ভুবনেশ্বর থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে কোনারক শহরে এই মন্দির। এর আকৃতি রথের মত। ভারতের সাতটি বিস্ময়ের অন্যতম এই মন্দির। বিশ্বের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী স্থান।
মন্দিরটির উচ্চতা প্রায় ৮৫৭ ফুট ।তবে মন্দিরের অনেক অংশ এখন বালিতে দেবে গেছে। মন্দিরের দেউল এখনো ২০০ ফুট উঁচু। ওড়িশা এবং দ্রাবিড় স্থাপত্যরীতির সংমিশ্রণে নির্মিত মন্দিরটি ধূসর বেলে পাথরে বিশাল একটি রথের আকারে গড়া হয়েছে। সমুদ্র থেকে উঠে আসা সূর্যদেবের বিশাল রথ,তার সামনে রয়েছে সাত জোড়া ঘোড়া। সাতটি ঘোড়া মানে সপ্তাহের সাত দিন। ১২ জোড়া বিশাল চাকার ওপর পুরো মন্দিরটি নির্মিত। ২৪ চাকা মানে চব্বিশ পক্ষ। ২৪ টি চাকা একেকটা সূর্য ঘড়ি। প্রত্য়েকটি চাকাতেই রয়েছে ২৪ টি স্পোক। যা কিনা প্রতি ঘণ্টার প্রতীক।
কোনারকের সূর্য মন্দির ভারতীয় সংস্কৃতি, সভ্যতা, স্থাপত্য় ও শিল্পকলার নিদর্শন। এর নেপথ্যে রয়েছে ভারতীয় দর্শন। যে দর্শন ভারতের কথা বলে, ভারতের অগ্রগতির কথা বলে।
ইতিহাসবিদদের কথায়, পাথরের তৈরি এই বিশাল আকৃতির রথের চাকা আসলে অগ্রগতির প্রতীক। যা কিনা দেশ-কালকে সঙ্গে নিয়ে সময়ের সঙ্গে এগিয়ে চলে। এই চাকা পরিবর্তনের প্রতীকও। সূর্য মন্দিরের ২৪ স্পোক বিশিষ্ট এই রথের চাকা জাতীয় পতাকাতেও জায়গা করে নিয়েছিল। কেননা, এই চক্র গণতন্ত্রের প্রতীক। যার হাত ধরে দেশের সার্বিক অগ্রগতি ঘটে। জি-২০ সম্মলনের এই কোলাজের মধ্যে দিয়ে উন্নয়নের ভারতকেই বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার প্রচেষ্টা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.