সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোষ্ঠী সংঘর্ষ ও সাম্প্রদায়িক হিংসায় উত্তাল হয়েছিল ঔরঙ্গাবাদ। আর সেই হিংসা ছড়ানোর অস্ত্র কেনা হয়েছিল ফ্লিপকার্টের মতো ই-কমার্স সংস্থা থেকে। এমনটাই দাবি করলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। সংশ্লিষ্ট সংস্থার নামে অভিযোগও দায়ের হয়েছে বলে জানান তিনি।
[ ভাইয়ের মৃত্যুর বদলা নিতে মিড ডে মিলে বিষ মেশাল সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ]
গত মে মাসে গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তাল হয়েছিল ঔরঙ্গাবাদ। অবৈধ জলের লাইনের বেআইনি সংযোগ রুখতে নেমেছিল পুরসভা। তাতে ক্ষোভ বাড়ছিল বেশ কিছু মানুষের। এরপর একটি ধর্মীয় স্থানের বেআইনি সংযোগ ছিন্ন করার পরই হিংসা ছড়ায়। পুরো বিষয়টিতে ধর্মীয় সংযোগ চলে আসে। এর জেরেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তাল সংঘর্ষ বেধে যায়। প্রাণহানি হয় দু’জনের। তার মধ্যে ছিল এক কিশোর। পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। অপর মৃত ছিলেন এক ৬৫ বছরের বৃদ্ধ। বহু দোকান ও বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ ওঠে রাজনৈতিক ফয়দা লুটতে এই হিংসাত্মক পরিস্থিতিকে কাজে লাগাচ্ছিলেন কোনও কোনও নেতা। তাতে আগুনে ঘি পড়ে। বিভাজনের বিষ ঢুকিয়ে দিতেই দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে ঔরঙ্গাবাদ। বেশ কয়েকদিন অশান্ত ছিল গোটা এলাকা। বহু দোকান ও বাড়ি ভস্মীভূত হয়ে যায়। জখম হন ৪০ জনেরও বেশি মানুষ। এখন জানা যাচ্ছে, সেই অশান্তি ছড়ানোর অস্ত্র কেনা হয়েছিল ফ্লিপকার্টের মতো ই-রিটেলারের থেকেই। মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ নিজে এ খবর নিশ্চিত করেছেন। এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দায়ের হয়েছে তাও জানিয়েছেন।
[ পরকীয়ায় লিপ্ত, সন্দেহে স্ত্রীর গোপনাঙ্গে ইলেকট্রিক শক দিয়ে হত্যা জওয়ানের ]
তবে এই প্রবণতা মারাত্মক ইঙ্গিত দিচ্ছে। গোপনে অস্ত্র মজুত করলে পুলিশের নজরদারিতে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কোথাও গোষ্ঠী সংঘর্ষ দেখা দিলে এবং তার সঙ্গে ধর্মের সংযোগ থাকলেই পুলিশ সক্রিয় হয়ে বাড়তি নজর রাখে। সেই নজর এড়াতেই যারা হিংসা ছড়াতে চায়, তারা ফ্লিপকার্টের মতো সংস্থা থেকেই অস্ত্র কিনে নিচ্ছে। এ অভিযোগ যদি সত্যি হয় তবে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে অনলাইন বেচা-কেনাতেও আরও নজরদারি বাড়াতে হবে পুলিশকে। ই-কমার্স সংস্থা থেকে অস্ত্র কেনা-বেচার অভিযোগ নতুন নয়। তবে যেভাবে তা ধর্মীয় হিংসা ছড়াতে ব্যবহার করা হয়েছে এই ক্ষেত্রে, তা ভবিষ্যতে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.