সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিন তালাক বিলের পর এবার পুরুষ অভিভাবক ছাড়া মুসলিম মহিলাদের হজযাত্রা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণায় রীতিমতো ক্ষুদ্ধ মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। সংগঠনের সম্পাদক মৌলানা আবদুল হামিদ আজহারির বক্তব্য, মুসলিম মহিলাদের হজযাত্রা একটি ধর্মীয় বিষয়। আইন করে সংসদে পাশ করানোর বিষয় নয়। প্রধানমন্ত্রী বা অন্য কারও কথায় নয়, এদেশের ৯৯ শতাংশ ইসলাম ধর্মালম্বী মানুষই ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের কথা শুনেই চলেন।
[কমলা মিলস অগ্নিকাণ্ড: দুই ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ]
বিষয়টি ঠিক কী? এদেশে বহু মুসলিম মহিলাই বোরখা পরেন। তাঁদের প্রকাশ্য রাস্তায় চলাফেরা করা নিয়ে ধর্মীয় কোনও বাধা নিষেধ নেই। কিন্তু, কোনও মুসলিম মহিলা যদি হজে যেতে চান, তাহলে স্বামী বা এমন কোনও পুরুষ আত্মীয়, যাঁর সঙ্গে বিয়ে হওয়ার সম্ভাবনা নেই, তাঁকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়াটাই দস্তুর। মুসলিম সমাজে প্রচলিত এই প্রথাটি মেহরাম নামে পরিচিত। বস্তুত, মুসলিমদের এই প্রথা মেনেই পুরুষ অভিভাবক ছাড়া মহিলাদের হজে যাওয়ার অনুমোদন দিত না কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়নমন্ত্রক।
কিন্তু, গত অক্টোবরে হজ যাত্রা সংক্রান্ত নিয়ম পালটেছে সরকার। নয়া নিয়মে এখন ৪৫ বছরের বেশি বয়সী মুসলিম মহিলারা পুরুষ অভিভাবক ছাড়া দলবদ্ধভাবে হজে যেতে পারবেন। এতদিন অবশ্য বিষয়টি নিয়ে তেমন হইচই হয়নি। কিন্তু, রবিবার ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে সরকারের নয়া সিদ্ধান্ত ঘোষণা করাই শুধু নয়, বিষয়টিকে অবিচার বলে মন্তব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ কেন এই বৈষম্য? আমি যখন এই বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছি, তখন অবাক হয়ে গিয়েছে। স্বাধীনতার ৭০ বছর পরেও আমরা এই নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছি। কয়েক দশক ধরে মুসলিম মহিলাদের প্রতি অবিচার হয়ে আসছে। কিন্তু, এটা নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।’
[পাক হামলা চলছেই, সার্জিক্যাল স্ট্রাইককে ‘নাটক’ বলে কটাক্ষ কংগ্রেস নেতার]
প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যে বেজায় চটেছে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। সংগঠনের সম্পাদক মৌলানা আবদুল হামিদ আজহারির বক্তব্য, ‘মুসলিম মহিলাদের হজযাত্রা একটি ধর্মীয় বিষয়। আইন করে সংসদে পাশ করানোর বিষয় নয়। প্রধানমন্ত্রী বা অন্য কারও কথায় নয়, এদেশের ৯৯ শতাংশ ইসলাম ধর্মালম্বী মানুষই ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের কথা শুনেই চলেন।’ মাস খানেক আগে মুসলিমদের তিন তালাক প্রথাকে অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার তিন তালাক বিল লোকসভার পেশ করেছে মোদি সরকার। ধ্বনিভোটে বিলও পাশ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, এভাবে আইন করে তিন তালাককে রোধ করার তীব্র বিরোধিতা করেছে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড।
[নাগরিকপঞ্জীর প্রথম খসড়ায় বৈধ মাত্র ১.৯ কোটি, উদ্বেগে বাকি অসমবাসী]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.