সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাফালে ইস্যুতে ফের চাপানউতোর শুরু হল কংগ্রেস-বিজেপি দুই শিবিরে। শুক্রবার সকালে সংসদের বাইরে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এই প্রসঙ্গে সরব হন। রাফালে প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধীর পাঁচদফা প্রশ্নের উত্তরে এদিন সংসদে বিবৃতি দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গরহাজিরা প্রসঙ্গকে কটাক্ষ করে রাহুলের দাবি, দেশ সামলাতে ব্যর্থ হয়েছেন মোদি। বিরোধীদের একের পর এক প্রশ্নে ভয় পেয়ে তিনি পালিয়েছেন। পাশাপাশি ম্যারাথন প্রশ্নে তিনি জানতে চান, যুদ্ধবিমান কেনায় কে বরাত পাইয়ে দিয়েছিল? হ্যালকে বরাত দেওয়ার সিদ্ধান্তই বা কে বাতিল করেছিল? বাড়তি দামে রাফালে কেনার সিদ্ধান্ত ছিল কার? বায়ুসেনার তরফে কি ৩৬টি বিমান চাওয়া হয়েছিল? এবং চুক্তির ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক কোনও বিরোধিতা করেছিন কিনা তাও জানতে চান রাহুল।
এই সব প্রশ্নের উত্তরে প্রথমেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, রাফালে যুদ্ধবিমান কেনার সিদ্ধান্ত ২০১৪ সালের পর নেওয়া হয়নি। ২০০১ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ীর জমানায় এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করা হয়েছিল। তখন ২৬টি বিমান কেনার কথা হলেও পরবর্তীকালে কেনা হয়েছিল ৩৬টি। ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে কম সংখ্যক যুদ্ধ বিমান থাকায় দেশের প্রতিরক্ষার স্বার্থে এই চুক্তি করা হয়ছিল। কিন্তু ২০০৬-২০১৪ সাল পর্যন্ত এই বিষয়ে কংগ্রেস সরকার কোনও পদক্ষেপ করেনি। প্রতিবেশী দেশ শক্তি বাড়িয়ে চললেও ভারত পিছিয়ে পড়ছে। তাই ২০১৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাফালে চুক্তিতে চূড়ান্ত স্বাক্ষর করা হয়। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার টুইট করে রাহুল গান্ধী লেখেন, “রাফালের খোলা বই সামনে রেখে সংসদ থেকে পালালেন প্রধানমন্ত্রী। পাঞ্জাবের লাভলি বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ লেকচার দিতে গিয়েছেন। ছাত্রদের কাছে তাঁর আবেদন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার চারটি প্রশ্ন তুলবেন।”
[সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছোল অযোধ্যা মামলার শুনানি]
উল্লেখ্য, বুধবার সংসদে অধিবেশনের শুরুতে রাহুল গান্ধীর প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, “কিছু মানুষ সত্যিকে স্বীকার করতে চায় না। এটা খুব দুঃখজনক, কংগ্রেসের মতো একটা দলের নেতৃত্বে এমন একজন আছেন যার কমব্যাট এয়ারক্রাফট সম্পর্কে সাধারণ ধারণা নেই। একটা দল, একটা পরিবার আছে যাদের সত্যিকে অস্বীকার করার স্বাভাবিক প্রবণতা আছে। গান্ধী পরিবারের প্রত্যেক সদস্য দুর্নীতিতে জড়িয়ে, বোফর্স, অগস্টা এবং হেরাল্ড মামলায় নাম জড়িয়েছে।’ রাফালের দাম বাড়া নিয়ে যুক্তি দিতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ওরা শুধু টাকার হিসেব দেখে, দেশের নিরাপত্তার খেয়াল রাখে না। কংগ্রেস পার্টি দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করেছিল। কংগ্রেস এখন যা বলছে, তাঁর মূল বক্তব্যই সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে।” জেটলি যখন এসব বলছেন তখনই কাগজের তৈরি যুদ্ধবিমান ওড়ান কংগ্রেস সাংসদরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.