সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েত পর্বে কি এবার রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে চলেছে? বিরোধীদের জোড়া মন্তব্য সে সম্ভাবনা অনেকটাই উসকে দিয়েছে। মনোনয়নের বাড়তি দিনে সন্ত্রাস প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছিলেন, রাজ্যের যা পরিস্থিতি তাতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির মতোই অবস্থা। তবে সে দাবি এখনই তোলা হচ্ছে না বলে জানিয়েছিলেন। ঠিক তার পরদিন একই মত জানালেন অধীর চৌধুরি।
[ ছিল বিজেপি হয়ে গেল তৃণমূল, দেওয়াল লিখনকে ঘিরে অশান্তি দক্ষিণ দিনাজপুরে ]
রাজ্য-রাজনীতির ভরকেন্দ্র যেদিকেই থাকুক না কেন বাংলার রাজনীতিতে বর্ণময় চরিত্র অধীর চৌধুরি। বহরমপুর থেকেই বহুবার রাজনীতির মোড় ঘুরিয়েছেন তিনি। এবারও পঞ্চায়েতের জল যে আদালাতে গড়িয়েছে তার নেপথ্যে আছেন তিনিই। মনোনয়নে অশান্তি নিয়ে তিনিই প্রথম আদালতের দ্বারস্থ হন। পরে অন্যান্য বিরোধীরাও একই পথ ধরে। যার জেরে শেষমেশ পঞ্চায়েতের পূর্ব নির্ধারিত নির্ঘণ্টই বাতিল হয়েছিল। বেড়েছিল মনোনয়নের একটা দিন। তবে সেদিনও অশান্তির আঁচে তপ্ত বাংলা। মনোনয়নের আগের পর্বে রানিবাঁধে প্রাণ গিয়েছিল এক রাজনৈতিক কর্মীর। বাড়তি দিনে অকুস্থল সিউড়ি। সেখানেও প্রাণ গেল এক রাজনৈতিক কর্মীর। যদিও তিনি কোন দলের, তা নিয়ে শাসক-বিরোধী কোন্দল অব্যাহত ছিল। এই পরিস্থিতিতেই দিলীপ ঘোষের মন্তব্য ছিল, রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে এখনই সে দাবি তোলা হচ্ছে না বলেও জানানো হয়েছিল। বরং অশান্তির ভিডিও ক্লিপিংস রাষ্ট্রপতিকে দেখানো হবে বলে জানিয়েছিলেন বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।
[ ‘বিজেপি যেন মনে রাখে এটা উত্তরপ্রদেশ নয়’, সাফ কথা পার্থর ]
মঙ্গলবার পঞ্চায়েত পরিস্থিতি নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেন অধীর চৌধুরি। দলের সভাপতির কাছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ জানান তিনি। স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, তৃণমূলের সঙ্গ ছাড়তে হবে। পরে এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অধীরবাবু জানান, “আমি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবি জানাচ্ছি। এটাই এই সময়ের দাবি। রাষ্ট্রপতি শাসন জারি না করলে কেউ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না।”
I demand President’s Rule in West Bengal. Without imposing President’s rule, no one will be able to exercise their democratic right. This is the need of the hour: Adhir Ranjan Chowdhury, Congress #PanchayatElections pic.twitter.com/wyKkkycRRG
— ANI (@ANI) April 24, 2018
এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে ভোটার কার্ড জমা দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস কর্মীরা। তাঁদের দাবি, রাজ্যে মনোনয়নই করতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে দেওয়া হবে না, তা স্পষ্ট। তাহলে আর ভোটার কার্ড রেখে কী লাভ! শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেই এই প্রতিবাদের পথে হেঁটেছেন কংগ্রেস কর্মীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.