Advertisement
Advertisement

Breaking News

New Criminal Laws

কেন্দ্রের ন্যায় সংহিতা খতিয়ে দেখবে রাজ্য, কমিটিতে প্রাক্তন বিচারপতি-সহ একাধিক মন্ত্রী

রাজ্যের যাবতীয় আপত্তি উড়িয়ে কেন্দ্র গত ১ জুলাই নয়া ফৌজদারি আইন কার্যকর করেছে। এবার তার পালটা পদক্ষেপ এল রাজ্যের তরফেও।

WB ministers and former justices in committee to discuss New Criminal Laws
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 17, 2024 8:14 pm
  • Updated:July 18, 2024 12:17 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্কিত ভারতীয় ন্যায় সংহিতা নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছে রাজ্য সরকার। নয়া ফৌজদারি আইনের বিরোধিতা করে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠিও লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর মূল বক্তব্য, এই আইন প্রণয়ণে বড্ড তাড়াহুড়ো করা হয়েছে, সব পক্ষের মতামত নেওয়া হয়নি। এবং কেন্দ্র যে ফৌজদারি আইনগুলি আনছে তা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। কিন্তু রাজ্যের যাবতীয় আপত্তি উড়িয়ে কেন্দ্র গত ১ জুলাই নয়া ফৌজদারি আইন কার্যকর করেছে।

এবার তার পালটা পদক্ষেপ এল রাজ্যের তরফেও। কেন্দ্রের কার্যকর করা তিন ফৌজদারি আইন খতিয়ে দেখতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আলাদা একটি কমিটি গড়ল। সাত সদস্যের সেই কমিটির শীর্ষে রয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি অসীম কুমার রায়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রাজ্য সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেল, রাজ্যের আইনজীবী সঞ্জয় বসু, রাজ্য পুলিশের ডিজি ও আইজি এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার।

Advertisement

[আরও পড়ুন: শুভেন্দুর মন্তব্য খারিজ সুকান্তর, ড্যামেজ কন্ট্রোলে শমীক]

রাজ্য সরকারের গড়া কমিটির শীর্ষে রয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) প্রাক্তন বিচারপতি অসীম কুমার রায়। দীর্ঘ ৪০ বছর আইনি পেশার সঙ্গে যুক্ত তিনি। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যের গড়া এই কমিটি ন্যায় সংহিতার সব ধারা খতিয়ে দেখে রাজ্যস্তরে তাতে সংশোধনের প্রয়োজন মনে করলে সরকারকে সে বিষয়ে পরামর্শ দেবে। রাজ্যে এই তিন আইনের নাম বদলের প্রয়োজন রয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। প্রাক্তন বিচারপতি অসীম কুমার রায়ের (Asim Kumar Roy) বক্তব্য, “কেন্দ্র নতুন যে আইনগুলি এনেছে, সেগুলি অনেকাংশেই অগভীর। পুরনো বা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা কোনও আইন পুরোপুরি বাতিল করতে গেলে যে পরিমাণ দূরদর্শিতা দেখানোর প্রয়োজন ছিল। সেটা এক্ষেত্রে দেখানো হয়নি।”

[আরও পড়ুন: সোনারপুরে ‘জমি হাঙর’ জামালের তাক লাগানো প্রাসাদ, বাড়িতেই আদালত!]

যদিও এ বিষয়ে বিশদে এখনই বলতে নারাজ বিচারপতি রায়। তিনি জানিয়েছেন, সবে রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তি তাঁর হাতে পড়েছে। এখনও পুরো বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখতে পারেননি। কমিটির সব সদস্যের সঙ্গে আলোচনার পরই এ বিষয়ে বিশদে বলা সম্ভব হবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement