বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়ে আবেদন বঙ্গের বিজেপি সাংসদদের। মোদিকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সূত্রের খবর, ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার পাশাপাশি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা করতে চেয়ে এই চিঠি দিয়েছেন। আগামী সপ্তাহে কোনও একদিন প্রধানমন্ত্রী সময় দিতে পারেন। রাজ্যের ইস্যুতে মোদির সঙ্গে আলোচনার আবেদন অজুহাতমাত্র। বরং শুভেন্দুকে কড়া বার্তা দিতেই বিরোধী শিবিরের নয়া কৌশল বলেই মনে করছে বঙ্গ বিজেপির একাংশ।
সূত্রের খবর, ১৩ মার্চ সংসদে দ্বিতীয়দফার বাজেট অধিবেশন শুরু হতেই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন বঙ্গের কয়েকজন সাংসদ। আলোচনায় ঠিক হয় রাজ্যের কেন্দ্রীয় প্রকল্প, আইনশৃঙ্খলা ও সাংগাঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হবে। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবেন। সিদ্ধান্ত মতো মোদির সাক্ষাৎ চেয়ে চিঠি দেন তিনি। আগামী সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী সময় দিতে পারেন বলে জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গের এক বিজেপি সাংসদ। দফায়-দফায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল রাজ্যে ঘুরে গিয়ে রিপোর্ট দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সব বিষয়ে ওয়াকিবহাল। তাহলে কেন বঙ্গের গেরুয়ী সাংসদদের একাংশ আলাদা করে কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করতে চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানালেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে দলের অন্দরে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে চলতে থাকা কেন্দ্রীয় প্রকল্পে অনিয়মের নতুন-নতুন অভিযোগ করে প্রতিদিনই প্রধানমন্ত্রী সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের চিঠি দেওয়া অভ্যাসে পরিণত করেছেন শুভেন্দু। চিঠি লিখেই থেমে থাকেননি। সম্প্রতি দলেরই এক নেতাকে দিল্লি পাঠান। তিনি বিভিন্ন মন্ত্রকের মন্ত্রী-সহ সংগঠনের শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গেও দেখা করেন। দলকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের চিঠি বা ঘনিষ্ঠ নেতাকে রাজধানীতে পাঠিয়ে সংগঠনের শীর্ষনেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করাটা সহজভাবে নিতে পারেনি সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষরা। এবার পালটা কৌশল নিয়েছেন তাঁরা।
গেরুয়া শিবিরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, গোষ্ঠীকোন্দলে জর্জরিত বঙ্গ বিজেপি এখন আড়াআড়ি ভাগ হয়ে গিয়েছে। বিরোধী দলনেতা ঘনিষ্ঠদের নিয়ে নিজের একটি ‘বৃত্ত’ তৈরি করেছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজের পছন্দের লোকদের প্রার্থী করতে চাইছেন। দলের শীর্ষনেতৃত্ব তাঁকে কতখানি পছন্দ করেন তা প্রমাণে মরিয়া। ফলে কিছুটা হলেও প্রাথমিকভাবে চাপে পড়ে যায় বিরোধী শিবির। সূত্রের খবর, তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পালটা চাপ দেওয়ার কৌশল নিয়েছে বিরোধীগোষ্ঠী। দলের শুভেন্দু বিরোধীগোষ্ঠীর নেতারা নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও সংগঠনের শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.