সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়ানড়ে ভূমিধসে (Wayanad landslides) এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা সরকারি হিসেবে ১৭৭। নিখোঁজ প্রায় ২০০। যদিও সংবাদ সংস্থা পিটিআই অসমর্থিত সূত্র উল্লেখ করে দাবি করেছে মৃতের প্রকৃত সংখ্যা ২৭৬। চালিয়ার নদী থেকে এখনও পর্যন্ত ৯২টি দেহাংশ উদ্ধারের খবর মিলেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কেননা কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বৃহস্পতিবার দাবি করলেন, ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত কাউকেই আর উদ্ধার করা বাকি নেই। এখন কাজ কেবলই দেহ উদ্ধার।
এদিন তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”মনে করা হচ্ছে, মুন্ডাক্কাই, চুরালমালা ও আট্টামালা গ্রাম থেকে আর কাউকেই জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা বাকি নেই। যা বাকি আছে তা হল ওখানে থাকা মৃতদেহগুলি বের করে আনা।” প্রসঙ্গত, এই ভূমিধসের ঘটনায় ওয়ানড়ের অন্তত ৩৫০টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রতিকূল আবহাওয়ায় বার বার বিঘ্নিত হয়েছে উদ্ধারকাজ। তবে এরই মধ্যে স্বস্তির খবর সেনা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চুরামালা ও মুন্ডাক্কাই গ্রামের মধ্যে বেইলি ব্রিজটি বানিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। এবার ওই পথে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে যেতে পারবে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
এদিকে বৃহস্পতিবারই ধস-বিধ্বস্ত অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। আর সেখানেই আবেগপ্রবণ হলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। তাঁকে বলতে শোনা গেল, ”আজ আমার সেই অনুভূতি হচ্ছে, যেটা বাবা মারা যাওয়ার সময় হয়েছিল।” চুরালমালা গ্রাম ঘুরে দেখে কংগ্রেস নেতা জানান, ”বাবার মৃত্যুতে আমি যেমন অনুভব করেছি, আজ আমি ঠিক তেমনই অনুভব করছি। এখানে মানুষ শুধু একজন বাবাকে নয়, পুরো পরিবারকে হারিয়েছে। পুরো দেশের মনোযোগ বর্তমানে ওয়ানড়ের দিকে।” সেই সঙ্গে কংগ্রেস নেতা বলেন, ”আমরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এখানে এসেছি। বহু মানুষ তাঁদের পরিবারের সদস্য এবং ঘরবাড়ি হারিয়েছেন। এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এই পরিস্থিতিতে মানুষের সঙ্গে কথা বলা খুব কঠিন। কারণ আপনি সত্যিই জানেন না তাঁদের কী বলতে হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.