সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়ানড়ে ভূমিধসে (Wayanad landslides) জীবিত কাউকেই আর উদ্ধার করা বাকি নেই। এখন কাজ কেবলই দেহ উদ্ধার। এমনই কথা শুক্রবার বলতে শোনা গিয়েছে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে। কিন্তু সত্য়িই কি সেখানে আর নেই কোনও প্রাণের স্পন্দন? এবার সেটাই খতিয়ে দেখতে ব্যবহার করা হচ্ছে ডিপ সার্চ রাডার। দেখা হচ্ছে ঘরবাড়ির ধ্বংসস্তূপের তলায় কোথায় কোনও জীবিত এখনও আটকে রয়েছেন কিনা।
কেরল সরকার কেন্দ্রের কাছে রাডার পাঠানোর আর্জি জানিয়েছিল। এর পরই নর্দার্ন কমান্ডের তরফে একটি জেভিয়ার রাডার ও দিল্লির তিরঙ্গা মাউন্টেন রেসকিউ অর্গানাইজেশনের তরফে চারটি রিকো রাডার পাঠানো হয়। তাছাড়া শনিবার দিল্লি থেকে ওয়ানড়ে একটি বায়ুসেনার বিমানও পাঠানো হয়েছে ওয়ানড়ে।
এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা সরকারি হিসেবে ১৭৭। নিখোঁজ প্রায় ২০০। যদিও সংবাদ সংস্থা পিটিআই অসমর্থিত সূত্র উল্লেখ করে দাবি করেছে মৃতের প্রকৃত সংখ্যা ২৭৬। চালিয়ার নদী থেকে এখনও পর্যন্ত ৯২টি দেহাংশ উদ্ধারের খবর মিলেছে।
প্রসঙ্গত, এই ভূমিধসের ঘটনায় ওয়ানড়ের অন্তত ৩৫০টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রতিকূল আবহাওয়ায় বার বার বিঘ্নিত হয়েছে উদ্ধারকাজ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চুরামালা ও মুন্ডাক্কাই গ্রামের মধ্যে বেইলি ব্রিজটি বানিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। যার পর থেকে ওই পথে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে যেতে পারছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
এদিকে শুক্রবারই পিনারাই বিজয়নকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”মনে করা হচ্ছে, মুন্ডাক্কাই, চুরালমালা ও আট্টামালা গ্রাম থেকে আর কাউকেই জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা বাকি নেই। যা বাকি আছে তা হল ওখানে থাকা মৃতদেহগুলি বের করে আনা।” কিন্তু তবুও আরও নিবিড় পর্যবেক্ষণ করতে চাইছেন উদ্ধারকারীরা। নিশ্চিত হতে চাইছেন, যেন কোনও জীবিত আটকে না থাকেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.