ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘১০০ কোটি মানুষকে শিক্ষা দেবে ১৫ কোটি মুসলিম’। সম্প্রতি একটি জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় এই মন্তব্য করেছিলেন অল ইন্ডিয়া মজলিশ-এ-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন(AIMIM)-র মুখপাত্র ওয়ারিস পাঠান। তাঁর এই বক্তব্যের ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়। কর্ণাটকের কালবুর্গি এলাকায় গিয়ে এই মন্তব্য করার দায়ে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে স্থানীয় থানার পুলিশ। এরপরই মৌখিকভাবে ক্ষমা চান ওই বিতর্কিত নেতা। তাতেও পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে না দেখে অবশেষে লিখিতভাবে ক্ষমা চাইলেন।
শনিবার এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার বক্তব্যকে বিকৃত করা হচ্ছে। দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য আমি সবরকম চেষ্টা করি। এটা আমার বিরোধীরাও জানে। তারপরও রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থের জন্য আমার বক্তব্যকে বিকৃত করা হচ্ছে। এটা আমাকে ও দলকে বদনামের চেষ্টা।’
এরপরই তিনি বলেন, ‘তবে যাই হোক না কেন আমার কথাগুলি যদি কাউকে আঘাত করে থাকে তার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমার বক্তব্য ফিরিয়েও নিচ্ছি। কারণ, আমি দেশের একজন সত্যিকারের নাগরিক।’ গত সপ্তাহে কর্ণাটকের কালবুর্গি এলাকায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে একটি জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হুমকি দিয়েছিলেন ওয়ারিস পাঠান। বলেছিলেন, ‘আমরা মাত্র ১৫ কোটি মুসলিম। কিন্তু, প্রয়োজন পড়লে ১০০ কোটি মানুষকে শিক্ষা দিতে পারি।’ এরপরই মুম্বইয়ের বাইতুল্লা বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়কের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ। সমালোচনা শুরু হয় দেশজুড়ে।
পরিস্থিতি দেখে তাঁকে ভর্ৎসনা করেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি-সহ AIMIM-এর অন্য নেতারা। এপ্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের AIMIM প্রধান ও ঔরঙ্গাবাদের সাংসদ ইমতিয়াজ জালিল বলেন, ‘আমরা ওয়ারিস পাঠানের এই মন্তব্য সমর্থন করি না। এবিষয়ে তাঁর থেকে জবাব চাওয়া হয়েছে। যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে দলীয় নেতা-কর্মীদের জন্য একটি নির্দেশিকা তৈরি করব আমরা। যাতে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা থাকবে কোন কথাটি বলা যাবে আর কোনটা নয়।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.