Advertisement
Advertisement

Breaking News

Congress

রাজস্থান কংগ্রেসে ‘লাল ডায়েরি’ জুজু! গুধা কাঁটায় বিদ্ধ গেহলট

মহিলাদের বিরুদ্দে অপরাধের প্রসঙ্গে উত্থাল রাজস্থানের রাজনীতি।

'Wanted to present my red diary', Sacked Rajasthan minister after 'dragged' out of Assembly | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:July 24, 2023 2:49 pm
  • Updated:July 24, 2023 3:37 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নারী নির্যাতন প্রসঙ্গে উত্তাল রাজস্থানের রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের চিন্তা বাড়াচ্ছেন ‘বিদ্রোহী’ তথা বরখাস্ত মন্ত্রী রাজেন্দ্র গুধা। এবার তাঁর অস্ত্র একটি রহস্যময় ‘লাল ডায়েরি’। সোমবার রাজ্যের শাসকদলকে বিঁধে গুধার অভিযোগ, তাঁকে ‘লাথি মেরে’ বিধানসভা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। কারণ তিনি সেই লাল ডায়েরি স্পিকারকে দেখাতে চেয়েছিলেন।

এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন রাজস্থানের প্রাক্তন সৈনিক কল্যাণ, হোমগার্ড, গ্রামোন্নয়ন এবং পঞ্চায়েতি রাজ দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী রাজেন্দ্র গুধা। কংগ্রেসকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, “আমি সেই লাল ডায়েরি স্পিকারকে দেখাতে চেয়েছিলাম। তখনই আমার উপর হামলা চালায় অন্তত ৫০ জন। কংগ্রেস নেতারা আমাকে কিল, চড়, লাথি মেরে বিধানসভা থেকে বের করে দেয়। তাঁদের দাবি, আমি নাকি বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছি। আমি কী দোষ করেছি। আমার বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও স্পিকার আমার কথা শোনেননি। আমাকে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় মন বিনিময়, প্রেমের টানে স্বামী-সন্তান ছেড়ে পাকিস্তানে ভারতের অঞ্জু]

কী রয়েছে ওই ‘লাল ডায়েরি’তে? রাজেন্দ্র গুধার কথায়, “কয়েকদিন আগে রাজস্থানের কংগ্রেস নেতা ধর্মেন্দ্র রাঠোরের বাড়িতে রেড করে এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট (ইডি)। সেখানে পাওয়া একটি লাল ডায়েরি যে কোনও মূল্যে আমাকে উদ্ধার করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। আমি না থাকলে তিনি জেলে থাকতেন।” তবে সেই ডায়েরিতে এমন কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে তা স্পষ্ট করেননি গুধা।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাজস্থান বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন মণিপুর প্রসঙ্গ ওঠে। তখনই রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে মন্তব্য করেন রাজেন্দ্র গুধা। ন্যূনতম আয় গ্যারান্টি বিল, ২০২৩ নিয়ে আলোচনার সময় কংগ্রেস সদস্যরা মণিপুরের ঘটনাটি তুলে ধরেন। এরপরেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজস্থানে মহিলাদের উপর নির্যাতন বৃদ্ধির ঘটনা কার্যত স্বীকার করে নেন রাজেন্দ্র। এ ব্যাপারে রাজ্যের শাসক দলের আত্মসমালোচনার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন তিনি। তারপরই তাঁর মন্ত্রিত্ব কেড়ে নেওয়া হয়।

[আরও পড়ুন: মণিপুর ইস্যুতে সরব হওয়ার ‘শাস্তি’, বাদল অধিবেশনে সাসপেন্ড আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement