সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে সমালোচনার ঢেউ তুলে দেওয়া মধ্যপ্রদেশের প্রি-মেডিক্যাল টেস্টে(পিএমটি) দুর্নীতির মামলায় ভোপালে বিশেষ সিবিআই আদালতে চার্জশিট পেশ করল সিবিআই। চার্জশিটে ৫৯২ জনের নাম রয়েছে। যার মধ্যে রাজ্যের চারটি মেডিক্যাল কলেজের কর্তা ও সরকারি আধিকারিকদেরও নাম রয়েছে। ২০১২-এ মধ্যপ্রদেশ প্রফেশনাল এগজ্যামিনেশন বোর্ড বা ব্যাপম-এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। মামলার ভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় চার্জশিট পেশ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সিবিআইয়ের চার্জশিটে এলএন মেডিক্যাল কলেজের চেয়ারম্যান জে এন চসকি, পিপলস মেডিক্যাল কলেজের এসএস বিজয়বর্গীয়, চিরায়ু মেডিক্যাল কলেজের অজয় গোয়েঙ্কা ও ইন্ডেক্স মেডিক্যাল কলেজের সুরেশ সিং ভাদোরিয়া-সহ আরও ২২টি কলেজের শীর্ষ কর্তার নাম রয়েছে বলে পিটিআই সূত্রে খবর। রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে প্রবেশিকা পরীক্ষায় ভার রয়েছে মধ্যপ্রদেশ প্রফেশনাল এগজ্যামিনেশন বোর্ড বা ব্যাপম-এর হাতে। অথচ সেই পরীক্ষাতেই ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সমালোচনায় উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। সিবিআই চার্জশিটে নাম রয়েছে সরকারি আধিকারিকদেরও। ব্যাপম-এর তৎকালীন ডিরেক্টর এস সি তিওয়ারি ও জয়েন্ট ডিরেক্টর এন এম শ্রীবাস্তবের বিরুদ্ধেও অযোগ্য পড়ুয়াদের পরীক্ষায় বেআইনি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
#VYAPAM Scam: CBI Special Court, #Bhopal, issues arrest warrant against the accused persons who were not present in the court today. 15 accused who appeared before the court were granted bail on Rs 1 lakh bond each
— ANI (@ANI) November 23, 2017
#UPDATE #VYAPAM Scam: Interim bail applications of Dr Ajay Goenka and DK Satpathy rejected by CBI Special Court, Bhopal. Hearing continues #MadhyaPradesh
— ANI (@ANI) November 23, 2017
সিবিআই জানিয়েছে, সরকারি কোটার আসন বেআইনিভাবে অযোগ্য পড়ুয়াদের পাইয়ে দেওয়া হত। সরকারের সংরক্ষণ ব্যবস্থার অপব্যবহার করা হয়েছে ব্যাপম দুর্নীতিতে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ৩৩৪ জন পরীক্ষার্থী, ১৫৫ জন অভিভাবক, চারজন ব্যাপম কর্তা, ৪৬ জন ইনভিজিলেটর, ২২ জন দালাল ও সরকারি দপ্তরের দুই কর্তা। এর মধ্যে ২৪৫ জনের নাম এই প্রথম সিবিআই চার্জশিটে উঠে এলেও বাকিদের নাম আগেই চার্জশিটে ছিল। কীভাবে হত এই দুর্নীতি, সেটাও জানিয়েছে সিবিআই। এর আগে দেশের কোনও সরকারি পরীক্ষায় এমন দুর্নীতি হয়নি বলেও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কর্তারা।
দালাল মারফত মেডিক্যাল কলেজে ভরতিতে আগ্রহী পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে আনা হত। সেখানে আগেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, এমন পরীক্ষার্থীরাও থাকতেন। নতুন পরীক্ষার্থীদের বসার ব্যবস্থা করা হত উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া পরীক্ষার্থীদের পাশে। দুর্নীতিগ্রস্ত ইনভিজিলেটররা এই কাজ করতেন। নতুন পরীক্ষার্থীদের বসার সিট এমনভাবে সাজানো হত, যাতে আগেই উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র দেখে দেখে টুকতে নতুনদের কোনও অসুবিধা না হয়। এবার যাঁরা একবার পাশ করে গিয়েছেন, তাঁরাও ফের কলেজে ভরতির সুযোগ নিতে যেতেন। কিন্তু তাঁরা ভরতি না হয়ে সিটগুলি দখল করে ফাঁকা ফেলে রাখতেন। এই সুযোগে বিভিন্ন অভিযুক্ত মেডিক্যাল কলেজের দুর্নীতিপরায়ণ কর্তারা যোগ্য পড়ুয়াদের সুযোগ না দিয়ে মোটা টাকার বিনিময়ে গোপনে অন্য পড়ুয়াদের ভরতি করে নিতেন কলেজে।
CBI has filed chargesheet in VYAPAM case against 592 persons including four former VYAPAM officials in PMT 2012 exams: CBI pic.twitter.com/ucDp3VSE4g
— ANI (@ANI) November 23, 2017
The four former VYAPAM officials named in CBI chargesheet are Pankaj Trivedi(the then director VYAPAM,Nitin Mohindra(the then Sr system analyst), Ajay kumar Sen(the then deputy system analyst) and CK Mishra(the then programmer)
— ANI (@ANI) November 23, 2017
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.