Advertisement
Advertisement

Breaking News

দুবাইয়ের বুর্জ খলিফাকে টেক্কা বৃন্দাবনের চন্দ্রোদয় মন্দিরের

থিম পার্কে থাকছে ঘন জঙ্গল সাফারি৷ থাকছে লাইট, সাউন্ড, স্পেশ্যাল এফেক্ট এবং লেসার শো’র মাধ্যমে ‘ব্রজমণ্ডল’ পরিক্রমার ব্যবস্থা৷

Vrindavan's Chandrodaya Mandir To Have Deeper Foundation Than Burj Khalifa
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 19, 2016 10:07 am
  • Updated:September 20, 2016 8:23 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভূগর্ভে গাঁথনির গভীরতায় দুবাইয়ের বুর্জ খলিফাকে হারাতে চলেছে বৃন্দাবনের চন্দ্রোদয় মন্দির৷ দুবাইয়ে অবস্থিত বিশ্বের এই উচ্চতম স্কাইস্ক্র্যাপার ভূগর্ভে প্রায় ৫০ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত৷ আরও পাঁচ কিলোমিটার গভীরতর হতে চলেছে চন্দ্রোদয় মন্দিরের ভিত৷ অর্থাৎ মাটির তলায় প্রায় ৫৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হবে বৃন্দাবনের এই ইমারতটির ভিত৷
চন্দ্রোদয় মন্দির প্রকল্পটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নরসিংহ দাস জানান, মোট ৫১১টি স্তম্ভ থাকবে সেখানে৷ ইতিমধ্যেই ১৪০টি স্তম্ভ তৈরি হয়ে গিয়েছে৷ বাকিগুলি আগামী মার্চের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ ২০২২-র মধ্যে সমগ্র ইমারতটি হয়ে যাবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ৷ প্রায় ৭০০ কোটি টাকা লাগবে এটি তৈরি হতে৷ তবে মজার বিষয়, মূল আর্থিক অনুদান বেঙ্গালুরু ইসকনের (ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অফ কৃষ্ণ কনশাসনেস) ভক্তসদস্যদের তরফে এলেও, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ অর্থসাহায্য করছেন৷ প্রকল্পটি নির্মাণেও হাত লাগিয়েছেন বিভিন্ন ধর্মের মানুষ৷ মূল আর্কিটেক্ট টিমের প্রধান জগমিন্দর হলেন শিখ৷ স্ট্রাকচারাল ডিজাইনিংয়ের বিষয়টি দেখছেন মিসাম ইমাম৷ ভার্টিকাল ট্রান্সপোর্ট বা উচ্চতা সংক্রান্ত বিষয়ের তদারকিতে আছে ক্রিস মিরিংয়ের নেতৃত্বাধীন এক দল৷
তবে শুধু গভীরতায় বিশ্বের বৃহত্তম স্কাইস্ক্র্যাপারকে হারানোর জন্যই নয়, আরও কয়েকটি কারণে খবরের শিরোনামে নির্মীয়মাণ মন্দিরটি৷ এগুলি হল উচ্চতা, বন ও থিম পার্ক৷ প্রায় ৭০০ ফুট বা ২১০ মিটার উঁচু মন্দিরটি বিশ্বের উচ্চতম মন্দির হতে চলেছে৷ দিল্লির কুতুব মিনারের তিনগুণ৷ চন্দ্রোদয় মন্দিরে থাকবে মোট চারটি মন্দির চত্বর৷ একটি বিশাল যোগচিহ্নের আকারবিশিষ্ট হবে ৭০০ ফুট মন্দিরটি৷ প্রতি কোণে থাকবে একটি করে মন্দির৷ এগুলি হবে রাধা-কৃষ্ণ, কৃষ্ণ-বলরাম, চৈতন্য মহাপ্রভু ও স্বামী প্রভুপাদের৷ ব্রজের ১২টি বনের আদলে তৈরি হবে বনও৷ বৈষ্ণব পদাবলি বা শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের মতো প্রাচীন সাহিত্যকে মনে করিয়ে দেবে মধুবন, তালবন, কুমুদবন, বহুলাবন, কাম্যবন, খাদিরাবন, বৃন্দাবন, ভদ্রাবন, বিল্ববন, লহুয়াবন, ভন্দিরাবন ও মহাবন৷ থিম পার্কে থাকছে ঘন জঙ্গল সাফারি৷ থাকছে লাইট, সাউন্ড, স্পেশ্যাল এফেক্ট এবং লেসার শো’র মাধ্যমে ‘ব্রজমণ্ডল’ পরিক্রমার ব্যবস্থা৷ বৃন্দাবনের বিভিন্ন বনে শ্রীকৃষ্ণের বিভিন্ন লীলা দেখা যাবে এর মাধ্যমে৷ অ্যানিমেট্রনিক্সের সাহায্যে এগুলি পরিচালিত হবে৷ এই পদ্ধতিতে রোবোটদের জীবন্ত মানুষের মতো নিয়ন্ত্রণ করা যায়৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement