সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারত। যেখানে সকলই নিজের মতো করে লড়াই চালান পায়ের তলার মাটি ধরে রাখতে। গত বছর অতিমারীর সঙ্গে লড়াতে দেশকে ‘আত্মনির্ভর’ হয়ে ওঠার আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর সেই বার্তার এক সম্প্রসারিত রূপই যেন ফুটে উঠল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) রায়বরেলির একশো ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধের জীবনে।
ইন্টারনেটে ভাইরাল (Viral) বিজয় পাল সিংয়ের লড়াইয়ের কাহিনি। ৯৮ বছর বয়সেও রাস্তার ধারে দোকান চালান তিনি।
দোকান বলতে টেবিলে সাজানো সামান্য পসরা। মূলত ছোলা-সহ চাটের দোকান। তাই নিয়ে তাঁর রোজকার লড়াই। তবে এই লোলচর্মসার বৃদ্ধের এহেন জীবন সংগ্রামের সঙ্গে দারিদ্রের সম্পর্ক নেই। সেকথা তিনি নিজেই জানাচ্ছেন। মূলত নিজেকে ফিট রাখতেই তাঁর এই নিত্যকার পরিশ্রম।
A 98 yr old man who sells chana outside his village in UP’s Rae Bareli was felicitated yesterday by @VaibhavIAS .The gentleman’s story gained traction after this viral video shot by a customer where he can be heard saying this is not out of compulsion but to stay fit … pic.twitter.com/oLokIr3dMj
— Alok Pandey (@alok_pandey) March 5, 2021
এক খরিদ্দারই ভিডিওয় তুলে রাখেন রায়বরেলির বৃদ্ধের রোজনামচা। মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, পথের ধারে নিজের দোকানে ছোলার চাট তৈরি করছেন তিনি। লেবুর রস চিপে দিচ্ছেন ছোলার মধ্যে। সেই অবস্থাতেই নিজের পরিবার সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েও দিচ্ছেন, ”পরিবার খুবই বড়।” তাহলে কি এই বয়সেও রোজগার করতে আসার আসল কারণ অর্থকষ্টের সঙ্গে লড়াই? তেমন সম্ভাবনাকে পত্রপাঠ সরিয়ে দিচ্ছেন বিজয় পাল সিং। তাঁর সোজাসাপটা জবাব, বাড়িতে বসে থাকলে নিজেকে দুর্বল মনে হয়। তাই পথেই নেমে পড়া।
বৃদ্ধের জীবনীশক্তি ও স্বাবলম্বী মানসিকতা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন সবাই। ভিডিও এতটাই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে, নজরে এসেছে খোদ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথেরও। গত বৃহস্পতিবার জেলাশাসক তাঁর হাতে তুলে দিলেন নগদ ১১ হাজার টাকা। সেই সঙ্গে লাঠি, শাল ও রেশন কার্ডও দেওয়া হয় তাঁকে। জেলাশাসকের কথায়, ”আমরা ওঁকে একটা রেশন কার্ড দিয়েছি। এমনকী, শৌচাগার তৈরির জন্য খরচও দেওয়া হয়েছে। ওঁর মতো মানুষ আমাদের অনুপ্রেরণা জোগান। উনি জানিয়েছেন, বাধ্যতা থেকে নয়, আত্মনির্ভর হতেই কাজ করে চলেছেন তিনি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.