সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৪ সালের মোদি ঝড়ের আগে বিজেপির যাবতীয় নির্বাচনী সাফল্য আবর্তিত হয়েছে মন্দির রাজনীতিকে ভিত্তি করে। ভোট এলেই বজরং দল হোক কিংবা গেরুয়া শিবিরের হিন্দুত্ববাদী নেতারাই হোক, ‘মন্দির ওহি বানায়েঙ্গে’ রব শোনা যায় গেরুয়া শিবিরে কান পাতলেই। খানিকটা ব্যতিক্রম ছিল ২০১৪। শুধু ‘বিকাশ’-এর অ্যাজেন্ডাতেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিলেন মোদি। মন্দির নির্মাণের প্রতিশ্রুতি যে ছিল না তা নয়, তবে তা চলে গিয়েছিল পিছনের সারিতে। সার্বিক উন্নয়নই ছিল প্রধান ইস্যু। সময় বদলেছে, বিজেপি ধীরে ধীরে ফের মন্দির রাজনীতির দিকে ফিরে গিয়েছে। বারবার গেরুয়া শিবিরের বিতর্কিত নেতাদের বিতর্কিত মন্তব্যের পর অন্তত এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
মন্দির নির্মাণের অ্যাজেন্ডা নতুন করে বিজেপির ইস্তেহারে স্থান পেয়েছিল উত্তরপ্রদেশের ভোটের সময়। কিন্তু আদালতের হস্তক্ষেপেই হোক কিংবা সদিচ্ছার অভাবেই হোক গেরুয়া শিবির এখনও মন্দির নির্মাণ নিয়ে এক ধাপও এগোতে পারেনি। তাতে কী? নেতাদের হম্বিতম্বি কমছে না। বারবার ১৯’-এর ভোটের আগেই মন্দির নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। তেমনই দাবি করলেন উত্তরপ্রদেশের সাংসদ বিনয় কাটিয়ার। চেনা সুরে কাটিয়ার বললেন, আদালতের নির্দেশ যেমনই হোক অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরি হবেই। কীভাবে তৈরি হবে রামমন্দির, তা নিয়ে এখনই খাপ খুলতে চাননি বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, ‘আদালত যাই রায় দিক মন্দির নির্মাণ আমরা করবই, কীভাবে করব তা শীঘ্রই জানাব। বাবর আদালতের অনুমতি নিয়ে মন্দির ভাঙেননি, সুতরাং নতুন করে তৈরির জন্য আদালতের অনুমতির প্রয়োজন নেই।’
কদিন আগেই কাটিয়ার বলেছিলেন, ‘মন্দির তৈরির জন্য আবারও করসেবকদের আত্মত্যাগ করতে হবে।’ সে বক্তব্য নিয়েও বিতর্ক কম হয়নি। বিরোধীরা বলছে, কাটিয়ারের মন্তব্য আদালত অবমাননার শামিল। সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে এ ধরণের মন্তব্য করা আইন ভাঙার শামিল বলেও মনে করছেন অনেকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.