Advertisement
Advertisement

Breaking News

COVID vaccine

প্রথমে কোভিশিল্ড, পরের বার কোভ্যাক্সিন! উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাণ্ডে বিতর্ক

দুই সংস্থার ডোজ নিয়ে কেমন আছেন গ্রামবাসীরা?

Villagers get mixed shots in UP primary health centre | Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:May 26, 2021 4:59 pm
  • Updated:May 26, 2021 10:01 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টিকাকরণের প্রথম ডোজটি কোভিশিল্ডের (Covishield)। পরেরটি কোভ্যাক্সিনের (Covaxin)। এমনই অভিজ্ঞতা হল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এক গ্রামের বাসিন্দাদের। নেপাল সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত সিদ্ধার্থনগর জেলার ওই গ্রামের স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিরুদ্ধে ভুল করে অন্তত কুড়িজন গ্রামবাসীকে দুই সংস্থারই করোনা (Coronavirus) টিকা দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। চিন্তিত গ্রামবাসীরা। যদিও স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, এখনও পর্যন্ত কারও শরীরেই কোনও সমস্যা দেখা যায়নি।

ঠিক কী হয়েছিল? প্রত্যন্ত গ্রামের এক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে কোভিশিল্ড ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। এরপর ১৪ মে দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে কোভিশিল্ড না দিয়ে দেওয়া হয় কোভ্যাক্সিন।
কী করে হল এমনটা? সিদ্ধার্থনগরের মুখ্য মেডিক্যাল অফিসার সন্দীপ চৌধুরীর মতে, স্রেফ অসাবধানতা ও উদাসীনতাই এর জন্য দায়ী। তাঁর কথায়, ‘‘সরকারের তরফে এই ধরনের মিশ্র ককটেলের ডোজ দেওয়ার কোনও রকম নির্দেশ নেই। যা হয়েছে তা অসতর্কতাতেই। আমরা ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। রিপোর্টও পেয়ে গিয়েছি। যাঁরা দোষী তাঁদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছি। আমরা সম্ভাব্য যা পদক্ষেপ করার করব।’’

Advertisement

[আরও পড়ুন: অ্যালোপ্যাথি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে রামদেবের বিরুদ্ধে দায়ের ১ হাজার কোটির মানহানির মামলা]

দু’টি সংস্থার ভ্যাকসিনের ডোজই গ্রহণ করলে কী হতে পারে তা এখনও বিশ্বব্যাপী গবেষণার বিষয়। তবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দাবি, কোনও গ্রামবাসীরই কোনও শারীরিক সমস্যা হয়নি কিংবা কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। সন্দীপ চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের দল সকলের সঙ্গেই কথা বলেছে যাঁদের ভুল করে দ্বিতীয় ডোজটি অন্য সংস্থার দেওয়া হয়েছে। কারওই কোনও সমস্যা হয়নি।’’

তবে এমন দাবিকে সমর্থন করছেন না এক ভুক্তভোগী। রাম সুরত নামের সেই গ্রামবাসীর সাফ কথা, প্রশাসনের তরফে কারও কাছে কোনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। তাঁর কথায়, ‘‘আমি ১ এপ্রিল কোভিশিল্ডের ডোজ নিয়েছিলাম। পরে ১৪ মে আমাকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়। কেউ চেকও করে দেখেনি। কোভিশিল্ডের জায়গায় কোভ্যাক্সিন দেওয়া হয়। ব্যাপারটা খুবই বিপজ্জনক। আমার তো খুব ভয় লাগছে। কিন্তু কেউই আমাদের খোঁজ করতে আসেনি।’’

প্রসঙ্গত, টিকাকরণের গতি দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম উত্তরপ্রদেশেই। এখনও পর্যন্ত মাত্র ১.৪ শতাংশকেই টিকার দুই ডোজ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। যা দেশের মোট টিকাকরণের শতাংশের প্রায় অর্ধেক। এবং গুজরাট ও কেরলের মতো বড় রাজ্যের নিরিখে অনেক কম। ওই সব রাজ্যে প্রায় ৬ শতাংশ টিকাকরণ হয়েছে।

[আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ফের বাড়ল সংক্রমণ, ফের একদিনে করোনার বলি ৪ হাজারেরও বেশি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement