সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাণে বাঁচতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু দুষ্কৃতীদের দাবি মেনে দুই মহিলাকে তুলে দেওয়া হয়। তারপরেই বিবস্ত্র করে হাঁটিয়ে নিয়ে গিয়ে দুই মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়। দুই মহিলার ভিডিও ঘিরে উত্তাল গোটা দেশ। তুমুল বিতর্কের মধ্যে এবার প্রকাশ্যে এল মণিপুরের নির্যাতিতার বয়ান। তিনি সাফ জানিয়েছেন, উন্মত্ত জনতার হাতে তাঁদের ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায় পুলিশ। তবে গোটা ঘটনার ভিডিও রয়েছে, সেটা জানা ছিল না দুই নির্যাতিতার। প্রসঙ্গত, নির্যাতিতাদের একজনের স্বামী কার্গিল যুদ্ধে ভারতীয় সেনার হয়ে লড়াই করেছিলেন। সমস্ত ঘটনায় ব্যথিত হয়ে মুখ খুলেছেন তিনিও।
নির্যাতিতা দুই মহিলা কুকি-জো সম্প্রদায়ভুক্ত বলেই জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজনের বয়স ৫০ বছরের কাছাকাছি। অপর জনের বয়স ২০। বয়স্ক নির্যাতিতাই পুলিশের কাছে বয়ান দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য থেকে জানা গিয়েছে, গত ৪ মে তাঁদের গ্রামে হামলা চলে। প্রাণভয়ে পুলিশের কাছে যান তাঁরা। সেই সময়ে নির্যাতিতাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। কিন্তু দুষ্কৃতীরা সাফ জানিয়ে দেয়, নির্যাতিতাদের তাদের হাতেই তুলে দিতে হবে। দুষ্কৃতীদের দাবি মেনেই ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যায় পুলিশ।
নির্যাতিতা জানিয়েছেন, পুলিশ চলে যাওয়ার পরে তরুণী নির্যাতিতার বাবা ও ভাইকে সরিয়ে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। পরে তরুণীর ভাইকে খুন করা হয়েছে বলেই অভিযোগ। তারপরেই দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে প্রকাশ্য রাস্তায় হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রকাশ্য দিবালোকে গণধর্ষণ করা হয় তরুণীকে। তারপরেই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। কোনওমতে ঘটনাস্থল থেকে পালান দুই নির্যাতিতা। ঘটনার ১৪ দিন পরে ১৮মে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়। কিন্তু পুলিশের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
গত বুধবার দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়। নির্যাতিতার দাবি, এরকম কোনও ভিডিওর অস্তিত্ব রয়েছে সেটা তাঁর জানা ছিল না। ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণেই হয়তো ভিডিও প্রকাশ্যে আসেনি বলেই মত নির্যাতিতার। জানা গিয়েছে, ৫০ বছর বয়সি নির্যাতিতার স্বামী ভারতীয় সেনায় কর্মরত ছিলেন। কার্গিল যুদ্ধেও লড়াই করেছেন তিনি। গোটা ঘটনায় তিনি রীতিমতো আতঙ্কিত। অন্যদিকে, দুই মহিলার হেনস্তার ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর থেকে মণিপুরের নানা প্রান্ত থেকেই একাধিক গণধর্ষণের অভিযোগ উঠে এসেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.