Advertisement
Advertisement
Vice Preseident

মানুষের ইচ্ছাকে অবজ্ঞা! কলেজিয়াম বিতর্কে সুপ্রিম কোর্টকে কটাক্ষ উপরাষ্ট্রপতি ধনকড়ের

'বিচারব্যবস্থা সবচেয়ে স্বচ্ছ, এখানে হস্তক্ষেপ করবেন না', বক্তব্য সুপ্রিম কোর্টের।

Vice Preseident enters Collegium debate, recalls NJAC repeal | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:December 3, 2022 5:15 pm
  • Updated:December 3, 2022 5:15 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলেজিয়াম বিতর্কে এবার সরাসরি ঢুকে পড়লেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankar)। কেন্দ্র এবং বিচারব্যবস্থার বিবাদে প্রত্যাশিতভাবেই তিনি কেন্দ্রের পক্ষ নিলেন। ২০১৪ সালের বিচারব্যবস্থার নিয়োগ আইন প্রসঙ্গ তুলে ধনকড় অভিযোগ করলেন, সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) সংসদ ভবনকে অবজ্ঞা করেছে। আর সংসদকে অবজ্ঞা করা মানে মানুষের ইচ্ছাকে অবজ্ঞা করা। কারণ সংসদের সিদ্ধান্তে মানুষের ইচ্ছাই প্রতিফলিত হয়। ঘটনাচক্রে ধনকড় যখন এই কথাগুলি বলছিলেন, তখন তাঁর পাশে বসে ছিলেন খোদ প্রধান বিচারপতি (CJI)।

আসলে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিচারপতি নিয়োগের নিয়মে সংশোধন করার উদ্যোগ নেয় কেন্দ্র। সংসদে পাশ করানো হয় বিচারপতি নিয়োগের সংশোধনী আইন। যাতে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম পদ্ধতিকে কার্যত নাকচ করে দেওয়া হয়। কিন্তু শীর্ষ আদালত এই বিষয়টিকে ‘অতি স্পর্শকাতর’ বলে সেই আইন খারিজ করে দেয়। সেই ঘটনাকে হাতিয়ার করেই এদিন ধনকড় বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে সরব হন। তাঁর বক্তব্য, সেসময় সুপ্রিম কোর্ট মানুষের ইচ্ছাকে অবজ্ঞা করেছিল। সংসদকে ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। ইতিহাসে আর কোথাও এমন ঘটনার নজির পাওয়া যায় না। এই ধরনের ঘটনা আমাদের মতো গণতন্ত্রে ঘটতে থাকলে কীভাবে চলবে?

Advertisement

[আরও পড়ুন: কাঁথির সভার আগে মাঝরাস্তায় গাড়ি থেকে নামলেন অভিষেক, গ্রামে ঘুরে শুনলেন অভিযোগ]

আসলে বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্র এবং শীর্ষ আদালতের মধ্যে কার্যত বিবাদের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কলেজিয়ামের সুপারিশ মেনে বিচারপতি নিয়োগের যে পদ্ধতি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে, তাতে আপত্তি জানিয়ে প্রায় নিয়মিত কোনও না কোনও বয়ান দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। তাতে ইতিমধ্যেই আপত্তি জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের অভিযোগ, কলেজিয়ামের সুপারিশ মেনে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে ঢিলেমি করছে কেন্দ্র। বিচারবিভাগে নিয়োগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের ভূমিকা হতাশাজনক।

[আরও পড়ুন: ‘কাঁথিতেও সভা হচ্ছে, আমিও রাস্তা বন্ধ করতে পারি’, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বাধা পেয়ে হুমকি শুভেন্দুর]

শুক্রবারই শীর্ষ আদালতের এক ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, “কলেজিয়াম সিস্টেমকে এভাবে বেলাইন করার চেষ্টা বন্ধ হোক। কলেজিয়াম কারও ইচ্ছাতে চলে না। বিচারব্যবস্থা দেশের সবচেয়ে স্বচ্ছ সংস্থা। এখানে হস্তক্ষেপ করবেন না।” আসলে নিয়ম অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্ট ও হাই কোর্টের বিচারপতিদের নিয়োগের দায়িত্ব কলেজিয়ামের (Collegium)। তবে তাদের সুপারিশ সত্ত্বেও আপত্তি জানিয়ে কোনও কোনও নাম পুনর্বিবেচনার জন্য কলেজিয়ামে ফেরত পাঠাতে পারে কেন্দ্র। কিন্তু পুনর্বিবেচনার পর কলেজিয়াম যদি ফের সেই নামগুলিই পাঠায়, তাহলে কেন্দ্র তা মানতে বাধ্য। এই নিয়মেই সম্প্রতি আপত্তি জানিয়েছে কেন্দ্র।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement