Advertisement
Advertisement
Punjab Congress

‘পাঞ্জাবে কংগ্রেসের টালবাহানায় সুবিধা পাবে ISI-পাকিস্তান’, বিস্ফোরক কপিল সিব্বল

কংগ্রেসে কারা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন সেটাই অজানা, কটাক্ষ কপিলের।

Veteran Congress leader Kapil Sibal says Punjab Congress crisis is an advantage to ISI and Pakistan। Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি।

Published by: Biswadip Dey
  • Posted:September 29, 2021 5:12 pm
  • Updated:September 29, 2021 5:21 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঞ্জাবের (Punjab) রাজনীতিতে একের পর এক নাটকীয় মোড়। আর এই রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য কংগ্রেসের (Congress) অন্তর্কলহকে দায়ী করে তোপ দাগলেন কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল (Kapil Sibal)। সরাসরি অভিযোগ করলেন, পাঞ্জাবের মতো দেশের সীমান্তবর্তী রাজ্যে এই ধরনের পরিস্থিতি আইএসআই ও পাকিস্তানের হাতকেই শক্ত করবে।

সংবাদ সংস্থা এএনআইকে প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা বলেন, ”কোনও সীমান্তবর্তী রাজ্যে কংগ্রেসে এই ধরনের সমস্যায় আইআইআই ও পাকিস্তানের হাতই শক্ত হবে। আমরা পাঞ্জাবের ইতিহাস জানি। এবং সেখানে চরমপন্থা কীভাবে মাথা তুলেছে সেটাও জানি। কংগ্রেসকে এটা নিশ্চিত করতেই হবে যেন তারা নিজেদের মধ্যে একতা বজায় রাখতে পারে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘এটাই কাশ্মীরের সত্যিকারের ছবি’, ফের ‘গৃহবন্দি’ হয়ে কেন্দ্রকে তোপ মেহবুবা মুফতির]

কংগ্রেসের এই অস্থিরতার জন্য কপিল সিব্বল দায়ী করেছেন দলে কোনও স্থায়ী সভাপতি না থাকাকেই। তাঁর কথায়, ”কংগ্রেসে এই মুহূর্তে কোনও নির্বাচিত সভাপতি নেই। আমরা জানিই না সিদ্ধান্তগুলি কে নিচ্ছে। কেন সবাই দল ছাড়ছে? আমাদের কি দেখা উচিত নয়, সমস্যাটা কোথায় হচ্ছে? যাঁদের নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হত দল ছেড়ে দিয়েছেন। আর যাঁরা নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ নন, তাঁরা কিন্তু এখনও দলে রয়ে গিয়েছেন।” উল্লেখ্য, গত বছরই সোনিয়া গান্ধীকে কংগ্রেসের যে ২৩ জন নেতা দ্রুত সভাপতি নির্বাচনের আরজি জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন, সেই দলেরই অন্যতম কপিল। সেই প্রসঙ্গ তুলে বর্ষীয়ান নেতাকে বলতে শোনা যায়, ”আমরা জি-২৩। ‘জি হুজুর ২৩ নই। আমরা ইস্যুগুলি তুলে ধরবই।”

মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদে আনা হয়েছিল সিধুকে। রীতিমতো দলের অন্দরে এবং সেসময়ের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে দলের অন্দরে উত্তরণ হয় সিধুর। কিন্তু তিনি সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, তাঁর ইস্তফা কংগ্রেসের জন্য বড়সড় ধাক্কা হতে পারে। কারণ, অমরিন্দরের পর সিধুই ছিলেন পাঞ্জাবে কংগ্রেসের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। স্বাভাবিকভাবেই সিধুর এই ক্ষোভ সামাল দেওয়া না গেলে আগামী দিনে পাঞ্জাবে বড়সড় ভাঙনের মুখে পড়তে পারে কংগ্রেস বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এবার দলের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গেল কপিলকে।

[আরও পড়ুন: ‘২০ হাজার টাকা পেয়েছি পাক সেনার থেকে’, কাশ্মীরে ধৃত জঙ্গি ফাঁস করল পাকিস্তানের চক্রান্ত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement