সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন উপ-রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন কংগ্রেস সাংসদরা। সোমবার রাজ্যসভার দুই কংগ্রেস সাংসদ নায়ডুর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানান।
[ বিমানসেবিকার শ্লীলতাহানি, কাঠগড়ায় এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলট ]
সুপ্রিম কোর্টের কাছে তাঁরা জানিয়েছেন, প্রধান বিচারপতিকে ইমপিচমেন্টের ওই আবেদনে প্রায় ৫০ জনেরও বেশি সাংসদ সই করেছিলেন। উপ-রাষ্ট্রপতি এভাবে কিছু খারিজ করে দিতে পারেন না। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। সর্বোপরি ইমপিচমেন্টের ইস্যুও উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে জাজস এনকোয়ারি অ্যাক্ট অনুযায়ী তদন্ত কমিটি বসানো উচিত। তারাই প্রমাণ করবে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সত্যি কিনা। আবেদনকারীরা আরও জানিয়েছেন, ইমপিচমেন্টের আবেদন জমা দেওয়া হয়েছিল ২০ এপ্রিল। ২৩ এপ্রিল সেটি খারিজ করে দেওয়া হয়। এই গোটা সময়টা উপ-রাষ্ট্রপতি দিল্লির বাইরেই ছিলেন।
[ বাংলোর সুবিধা পাবেন না প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীরা, জানাল সুপ্রিম কোর্ট ]
প্রধান বিচারপতির ইমপিচমেন্টের আবেদন যখন হয়, তাতে সই করেছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল। তিনি পিটিশনের শুনানি বিচারপতি চেলমেশ্বরের অধীনে হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। বলেছেন, যেহেতু ইমপিচমেন্টের নোটিশ খোদ প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে, সেহেতু তাঁর অধীনে কখনও মামলাটি চলতে পারে না। তিনি বিষয়টি নিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুনানির আবেদন করেছেন।
গত ২০ এপ্রিল ৬৪ জন সাংসদ প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের আবেদন এনেছিলেন। প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁরা। এর মধ্যে যেমন আচরণবিধি লংঘন ছিল, তেমনই ছিল মামলা সমানভাবে বন্টন না করার অভিযোগ। সাংসদদের এই আবেদনই খারিজ করে দেন উপ-রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.