Advertisement
Advertisement
বৈষ্ণোদেবী

সম্প্রীতির নজির, রমজান মাসে ৫০০ মুসলিমের শেরি ও ইফতারের ব্যবস্থা করল বৈষ্ণোদেবী মন্দির

কোভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয় করেছে এই মন্দিরের বোর্ড।

Vaishno Devi provides sehri, iftar meals to 500 Muslims in Ramadan
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:May 24, 2020 2:58 pm
  • Updated:May 24, 2020 2:58 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাতি-ধর্ম-বর্ণ ভুলে ভাল-মন্দে পরস্পরের পাশে থাকা, দুর্দিনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া- এটাই ভারতের
ঐতিহ্য-সংস্কৃতি। ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দগদগে ঘাও তাই মানবিকতা আর সম্প্রীতিকে শেষ করে দিতে পারেনি। রমজান মাসে তারই উদাহরণ দিল বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের দেখভালের দায়িত্বে থাকা বোর্ড। রমজানের পবিত্র মাসে পাঁচশো মুসলিমের জন্য শেরি আর ইফতারের ব্যবস্থা করল তারা।

করোনার কোপে বদলে গিয়েছে গোটা দেশের ছবিটা। আক্রান্তের সংস্পর্শে এলেই ১৪ দিন বাড়ি ছেড়ে থাকতে হচ্ছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। এক্ষেত্রে সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, ধর্মীয় সংগঠন কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরির জন্য জায়গা ছেড়ে দিয়েছে। ব্যতিক্রমী নয় বৈষ্ণোদেবী শ্রিন বোর্ডও। কাটরার আশীর্বাদ ভবনকে মার্চেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে বদলে ফেলেছিল তারা। আর সেখানে থাকা মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের জন্যই রমজান মাসে শেরি ও ইফতারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কারও যাতে খাবার পেতে সমস্যা না হয়, প্রতিনিয়ত তার তদারকি করেছেন বোর্ডের কর্তারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও পোস্ট করে দূরদর্শন চ্যানেল। যেখানে দেখা যাচ্ছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই প্রত্যেকে খাবার সংগ্রহ করছেন। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই নেটদুনিয়ার প্রশংসা কুড়িয়েছে। এমন সংকটের দিনে ধর্ম ভুলে যেভাবে একজোট মানুষ, তার প্রশংসায় নেটিজেনরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ফের নিয়মভঙ্গ যোগীর রাজ্যে, গোমাতার শেষকৃত্যে হাজির শতাধিক বাসিন্দা]

বোর্ডের চিফ এক্সিকিউটিভ আধিকারিক রমেশ কুমার বলেন, “আমরা আশীর্বাদ ভবনকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে বদলে ফেলেছি। এখানে ৫০০টি বেড রয়েছে। রমজান মাস উপলক্ষে জম্মু ও কাশ্মীর সরকার ভিনরাজ্যে আটকে পড়াদের বাড়ি ফেরাচ্ছে। তাই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারেরও প্রয়োজন হচ্ছে। সেই জন্যই এই উদ্যোগ। যাঁরা এখানে রয়েছেন, তাঁদের বেশিরভাগই শ্রমিক। রমজানের উপবাস করছেন। তাই প্রতিদিন শেরি আর ইফতারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

পাশাপাশি তিনি আরও জানান, আশীর্বাদ ভবন ছাড়াও কাটরার অন্যান্য সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারেও তিনবেলা খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে তাঁদের তরফে। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় খাবার ব্যবস্থার পাশাপাশি অন্যান্য খরচ নিয়ে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয় করেছে এই বোর্ড।

[আরও পড়ুন: দু’মাস পর সোমবার চালু হচ্ছে বিমান পরিষেবা! তীব্র আপত্তি বাংলা-সহ ৩ রাজ্যের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement