সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী বছরের শুরুতেই ভারতে কোভিড-১৯-এর (COVID-19) ভ্যাকসিনের দেখা মিলবে। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন (Harsh Vardhan) । দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ভ্যাকসিনের জন্য অধীর প্রতীক্ষায় দেশবাসী। এই পরিস্থিতিতে এদিন সকলকে কিছুটা আশ্বস্ত করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় দেশের করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে হর্ষ বর্ধন বলেন, ভারতও বিশ্বের অন্য দেশের মতো ভ্যাকসিনের (Vaccine) সন্ধানে রয়েছে। তিনি জানান, এই সংক্রান্ত তিনটি গবেষণা তিনটি স্তরে রয়েছে। তবে পাশাপাশি তিনি এও জানান, বছরের শুরু থেকে ভ্যাকসিন মিললেও তা সকলের কাছে পৌঁছতে সময় লাগবে। এই মুহূর্তে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাই যে করোনার বিরুদ্ধে সবচেয়ে জরুরি প্রতিরোধ, সেকথাও জানিয়ে দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, দেশের যে তিনটি সংস্থা ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে ভিন্ন স্তরে রয়েছে সেগুলি হল জাইডাস ক্যাডিলা, ভারত বায়োটেক ও সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তত্ত্বাবধানে বিশেষজ্ঞদের একটি দল বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।’’ সেই সঙ্গে তিনি আশাপ্রকাশ করেন, আগামী বছরের শুরুতেই মিলবে ভ্যাকসিন।
হর্ষ বর্ধন বলেন, গত ৮ জানুয়ারি থেকে প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিভিন্ন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন। তিনি জানান, ভারতে প্রথম কোভিড-১৯ সংক্রমণের সন্ধান মেলার আগে থেকেই সরকার করোনা প্রতিরোধের জন্য পদক্ষেপ করা শুরু করেছে। পাশাপাশি যোগ করেন, একসময় টিভি চ্যানেগুলি পিপিই কিট, টেস্টিং কিট ও মাস্কের অপর্যাপ্ততা নিয়ে অভিযোগ জানালেও দেশ সেই সময়টাকে পিছনে এগিয়ে গিয়েছে। হর্ষ বর্ধনের দাবি, সারা দেশে এখন শতাধিক গবেষণাগার রয়েছে এবং কোনও রাজ্যের প্রতি কোনওরকম পক্ষপাতিত্ব নেই।
লকডাউনের সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার প্রসঙ্গও এদিন উঠে আসে তাঁর বক্তব্যে। তিনি মেনে নেন পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছিল। তবে ৬৪ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ট্রেন ও বাসের ব্যবস্থা করে দিয়েছে সরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.