Advertisement
Advertisement

Breaking News

Uttarakhand

কন্যার জন্ম দেওয়ার ‘শাস্তি’, স্ত্রীকে হাতুড়ি, স্ক্রুড্রাইভার দিয়ে বেধড়ক মার উত্তরাখণ্ডের ব্যক্তির!

'পুলিশে অভিযোগ জানালেও লাভ হয়নি', বলছেন নির্যাতিতা।

Uttarakhand man beats wife for giving birth to girl child

প্রতীকী ছবি।

Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:April 14, 2025 9:35 am
  • Updated:April 14, 2025 9:35 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বেটি বচাও, বেটি পড়াও’এর দেশেই কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ার ‘অপরাধে’ মারধর করা হল মা’কে! হাতুড়ি, স্ক্রুড্রাইভার দিয়ে নারকীয় অত্যাচার চালাল ওই মহিলারই স্বামী। এমনকি পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। মারধরের একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় অবশেষে প্রকাশ্যে এসেছে গোটা ঘটনা।

Advertisement

ভয়ংকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডে। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে নির্যাতিতার বিয়ে হয় অভিযুক্তের সঙ্গে। তারপর থেকেই পণের দাবিতে লাগাতার অত্যাচার চলত ওই মহিলার উপরে। তার মধ্যেই গত মাসে কন্যার জন্ম দেন। সেখান থেকেই চরমে ওঠে অশান্তি। মেয়ে হয়েছে কেন, সেই প্রশ্ন তুলে মহিলার উপরে নারকীয় অত্যাচার চালায় তার স্বামী। হাতুড়ি, স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে মারধর করা হয় মহিলাকে। চুল ধরে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মহিলাকে, এমন ভিডিও ভাইরালও হয়। মারধরের জেরে ওই মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েন। বেশ কিছুদিন চিকিৎসাধীন থাকতে হয় তাঁকে।

তারপরেই গত মাসের ৩০ তারিখ পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। ঘটনার ভিডিও জমাও দেন পুলিশের কাছে। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ওই মহিলার স্বামীর বিরুদ্ধে। সুবিচার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পোর্টাল এবং জাতীয় মহিলা কমিশনেও আবেদন জানিয়েছেন নির্যাতিতা। তিনি জানান, শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা তাঁকে খুনের ছক কষেছিল, যেন ডিভোর্স করে তিনি খোরপোশ চাইতে না পারেন। তাই কাগজপত্র দেওয়ার নাম করে বাড়িতে ডেকে ওইভাবে অত্যাচার চালানো হয়েছে তাঁর উপর।

নির্যাতিতার মা জানান, বিয়ের পর থেকেই পণ চেয়ে অত্যাচার চালানো হত তাঁর মেয়ের উপর। পুত্রসন্তান জন্ম দেওয়ার জন্যও চাপ দেওয়া হত। বাড়ি থেকে বের করেও দেওয়া হয়েছে তাঁর মেয়েকে। অন্যদিকে পুলিশের দাবি, প্রাথমিকভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তারপর সাক্ষীদের বয়ান এবং অন্যান্য প্রমাণের ভিত্তিতে নতুন করে অনেক ধারা যোগ করা হয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। আপাতত পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে অভিযুক্তকে। তদন্ত চলছে বলেই জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
News Hub