সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেরাদুনের একাধিক মাদ্রাসা চত্বরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি লাগানো নিয়ে তীব্র বিতর্কের পরিবেশ। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী এ ছবি রাখার কথা। যদিও ধর্মীয় কারণে ছবি টাঙাতে নারাজ মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
[ ‘জেলে বড্ড ঠান্ডা’, লালুর অভিযোগে বিচারকের জবাব ‘তবলা বাজান’ ]
গত বছর স্বাধীনতা দিবসের পরই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়। বলা হয়, ‘নিউ ইন্ডিয়া ২০২২’-প্রধানমন্ত্রীর এই স্বপ্নকে সার্থক করে তুলতে প্রতিটি স্কুলে যেন নতুন ভবন তৈরি করা হয়। যেখানে প্রধানমন্ত্রীর ভাবনা ও দর্শনের ছাপ থাকবে। পাশপাশি সেখানে যেন প্রধানমন্ত্রীর একটি ছবিও থাকে। কিন্তু এই নির্দেশিকা মানতে নারাজ দেরাদুনের একাধিক মাদ্রাসা। কেন কর্তৃপক্ষর এরকম সিদ্ধান্ত? মাদ্রাসাগুলির দাবি, ধর্মীয় কারণেই এ কাজ করা সম্ভব হবে না। কেননা ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী কোথাও কোনও ছবি টাঙানো হয় না। তাহলে মোদির ছবিই বা কেন টাঙানো হবে? দ্বিতীয়ত, স্কুলে যদি প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকে, তবে শিক্ষায় রাজনীতি, বিশেষত গৈরিক রাজনীতির ছাপ পড়বে বলেও আশঙ্কা মাদ্রাগুলির। ফলে সরকারি নির্দেশিকা থাকা সত্ত্বেও তারা তা মানতে নারাজ। ফলে নির্দেশিকা জারি হওয়ার এতদিন পরেও প্রদানমন্ত্রীর ছবির দেখা নেই।
[ SBI গ্রাহকদের জন্য সুখবর, কমছে ন্যূনতম টাকা রাখার পরিমাণ ]
এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, সমস্ত সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই এ নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কেউ যদি না টাঙায় তাহলে জোর তো খাটানো যায় না। উত্তরাখণ্ড মাদ্রাসা এডুকেশন বোর্ড অবশ্য স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, সরকারি নির্দেশিকা হলেও এই বিধি মানা হবে না। আপাতত এ নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক। একদিকে সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বৈষম্য ঘটলে অনেকেই অসন্তুষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় তাদের অবস্থানে অনড়। কোনওভাবেই ইসলামিক প্রতিষ্ঠানে কোনও ছবি টাঙানোর পক্ষপাতী নয় তারা। এ নিয়ে সরকারি নির্দেশিকার চাপও বরদাস্ত করতে নারাজ মাদ্রাসাগুলি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.